খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

দৌলতপুরে দলীয় কার্যালয় ভাংচুরে জড়িতদের শাস্তির দাবি বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব মোঃ শফিকুল আলম তুহিন বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত ২২ আগষ্ট থেকে সারাদেশে থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ সরকার জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়াসহ সকল দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (২৪ আগষ্ট) দৌলতপুর থানা বিএনপির উদ্যোগে বিএল কলেজ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। বাঁধাহীনভাবে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে সহায়তা চেয়ে থানা বিএনপি নেতারা পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেন এবং সার্বিক সহায়তা চান। সব কিছু ঠিকঠাকভাবে চললেও বুধবার সকাল থেকে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। বিএল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও স্থানীয় যুবলীগের কতিপয় নেতাকর্মী বিভিন্ন ধারালো দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএল কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। তারা দফায় দফায় মহড়া দিতে থাকে এবং হামলা চালিয়ে বিএনপির কর্মসূচি পন্ড করে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি, ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরে পুলিশ প্রশাসন তাদেরকে কোন প্রকার বাঁধাদান কিংবা নিবৃত করার চেষ্টা করেনি। বরং বিএল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতা যি‌নি বর্তমানে দৌলতপুর থানা পুলিশের কর্মকর্তা, তি‌নি নিজে উপস্থিত থেকে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলা করতে উস্কানি দেয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত)’র ভূমিকাও ছিল তাদের পক্ষে। বিএনপির কর্মসূচিতে হাজার হাজার নেতাকর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী ক্যাম্পাস ছেড়ে বাইরে আসতে সাহস পায়নি। বাস্তবতা বিবেচনায় সংঘাত এড়াতে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন। নেতাকর্মীরা স্থান ত্যাগ করা মাত্র শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বিএল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপি বিরোধী মিছিল ও উস্কানিমূলক শ্লোগান দিতে থাকে।

তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় স্থাপিত সমাবেশ মঞ্চ ও মাইক ভাংচুর করে। এরপর দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে নির্বিচারে চেয়ার, টেবিল, অন্যান্য আসবাবপত্র ভেঙ্গে তছনছ করে। লাঠিসোটা, রড ও রামদা নিয়ে হামলা চালানো সন্ত্রাসীদের ভাংচুর, চিৎকার ও গালিগালাজে সমগ্র এলাকায় চরমভাবে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিএনপি শান্তিপূর্ণ গণমুখি কর্মসূচি নিয়ে জনগনের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছে। কিন্ত জনসমর্থনহারা সরকার গদি হারানোর আতংকে তার বাহিনী দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করতে চায়। আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে দৌলতপুর থানা বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর ও তছনছের ঘটনায় নেপথ্যেও ইন্ধনদাতা থানার সেকেন্ড অফিসার জামালের অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। সেই সাথে ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ ক্যাডারদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জোর দাবি জানি‌য়ে‌ছে বিএন‌পি।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, তারিকুল ইসলাম জহীর, আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, রেহানা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, সের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, রুবায়েত হোসেন বাবু, কে এম হুমায়ুন কবির, সাজ্জাত হোসেন তোতন, মুর্শিদুর রহমান লিটন, একরামুল কবীর মিল্টন, শেখ ইমাম হোসেন, শরিফুল আনাম, মোল্লা ফরিদ আহমেদ প্রমূখ।

খুলনা গেজেট/এইচআরডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!