খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশায় জামাল হত্যা মামলায় মূল আসামীসহ চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। বুধবার (২২ জুলাই) খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ড. আতিকুস সামাদ তাদের জবানবন্দী ১৬৪ধারায় রেকর্ড করেন।
তদন্ত কর্মকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে কেএমপি’র মুখপাত্র এডিসি কানাইলাল সরকার জানিয়েছেন, গত ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা এলাকায় জামাল হত্যা মামলায় (যার নং-১২) থেকে এজাহারনামীয় আাসমী স্থানীয় সাহেবপাড়ার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মোঃ হিরু (২৪) ও মানিকতরা সিএসডি গোডাউনের সামনের মৃত সুলতান ফকিরের ছেলে মোঃ বিপ্লব ফকির(২২) কে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ১৬ জুলাই আদালত তাদের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। ১৮ জুলাই তারা দু’জনেই হত্যাকান্ডের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়। গত ২০ জুলাই রাতে মানিকতলা পশ্চিম সেনপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হাই শিয়ালীর ছেলে মাসুম শিয়ালী (২১) গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার মাসুম আদালতে স্বাকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এসব জবানবন্দীতে হত্যাকান্ডের মূল হোতা স্পষ্ট হয়ে উঠে। পরে যশোরের অভয়নগরের নূরবাগ এলাকা থেকে হত্যা মামলার ১নং আসামী মোঃ আমির হোসেনকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়। সে মহেশ্বরপাঢ়া মুন্সিপাড়া বৌ বাজারের মোঃ লাল মিয়ার ছেলে।
বুধবার (২২ জুলাই) আমির হোসেন নিজে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বতঃস্পূর্তভাবে স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতার ও মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত্ব, গত ১৪ জুলাই রাত ২টারদিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহেশ্বরপাশার মোঃ শামসুর রহমানের ছেলে ট্রাক হেলপার জামালকে হত্যা করে দুর্বৃত্বরা।
খুলনা গেজেট/এআইএন