ব্যবসায়ীদেরকে সরকার নীতিমালার মধ্যে আনতে না পারার কারণে তারা বেশি সুযোগ নিচ্ছে এবং এ কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। অন্যদিকে যারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন, যারা সিন্ডিকেট করছেন তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ লেখার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহম্মেদ মজুমদার।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সুরা ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের ব্যসায়ীরা একটু বেশি সুযোগ নিচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ীদের নীতিমালার মধ্যে আনতে পারিনি। আমরা চেষ্টা করছি সার্বিকভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য। আমাদের দেশে সারের কোনো কমতি নেই। আমাদের নিজস্ব উৎপাদন রয়েছে। কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমরা কাজ করছি।
এদিকে যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী কামাল আহম্মেদ মজুমদার বলেন, ‘বাংলাদেশে খাদ্য শস্যের কোনো অভাব নেই, সারের কোনো সংকট নেই। গুদামে ছয় লাখ থেকে সাত লাখ মেট্রিক টন সার মজুদ রয়েছে। করোনা মহামারী ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধকে পুঁজি করে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী দাম বৃদ্ধি করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।’
করোনার পরে বিশ্বের যে সার্বিক অবস্থা, তা হঠাৎ করে হয়নি। করোনার পর আবার ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ প্রভাব ফেলেছে। আমরা একটা গ্লোবাল ফ্যামিলিতে বসবাস করি। আমরা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, যোগ করেন মন্ত্রী।
এ সময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে খাদ্যশস্যের কোনো অভাব এবং সারের কোনো সংকট নেই। বর্তমানে ছয় থেকে সাত লাখ মেট্রিক টন সার মজুদ রয়েছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দোহাই দিয়ে কৃক্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য বাড়াচ্ছে। এসব অতি মুনাফালোভীর কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে এবং সাধারণ জনগণকে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।
পরে মন্ত্রী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় বিসিআইসি কর্তৃক নির্মাণাধীন সারের বাফার গোডাউন পরিদর্শন করেন।
খুলনা গেজেট/এমএনএস