দলের মধ্যে থেকে দলের ভাবমূর্তি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভাবমূর্তি যারা নষ্ট করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের হুশিয়ারি দিয়ে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, ৭২ থেকে পঁচাত্তর এই দেশের গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ খেয়ে ফেলেছিল। মানুষের মৌলিক অধিকার ছিল না, এমনকি স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টিও ছিল না। নির্বাচিত সংসদ ও নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না। দেশ বাঁচাতে ও গণতন্ত্র ফিরে পেতে আমাদের ঐক্যের প্রয়োজন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর খানজাহান আলী থানার অর্ন্তগত এ্যাজাক্স জুটমিল এলাকায় বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে তিনটি জাতীয় নির্বাচনে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ না দেয়ায় বর্তমান প্রজন্ম প্রকৃত গণতন্ত্র থেকে বঞ্চিত হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে যারা দখল করেছে সেই এস আলমদের উত্তরসূরী হয়ে ব্যাংক দখল করেছে অনেকে। অথচ তারা বড় বড় কথা বলছেন। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর জন্য নির্বাচন বন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। দিনের পর দিন আমরা অনির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ চলতে পারে না।
বকুল আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের কালো টাকায় বিক্রি হয়ে একটি কুচক্রিমহল ফ্যাসিস্টদের পুর্নবাসনের জন্য কাজ করছে কিন্তু দেশের জনগণ সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের মাধ্যমে আন্দোলনের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। দেশের জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে। বিগত লুটেরা সরকার পাটকলগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনাও পরিশোধ করেনি। দেশের গনতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে বন্ধ পাটকলগুলো চালু করা হবে। কেন্দ্রীয় বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, ৭২ থেকে পঁচাত্তর এই দেশের গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ খেয়ে ফেলেছিল। মানুষের মৌলিক অধিকার ছিল না, এমনকি স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টিও ছিল না। না খেয়ে মানুষ বেওয়ারিস লাশ হয়ে পড়ে থাকতো। ইতিহাস থেকে আওয়ামী লীগ শিক্ষা গ্রহণ করে নাই। যদি করতো তাহলে গত ১৫ বছর আগের মতোই নির্যাতনের পথ বেছে নিতো না। ৫ আগস্টের আগে বিএনপি নেতাকর্মীরা বাড়িতে ঘুমাতে পারে নাই, তাদের ব্যবসা বাণিজ্য জায়গা দখল, চাকরি থেকে বিতাড়িত করেছে। মনের মধ্যে তো ক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু আমাদের নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন, আপনারা এই মুহূর্তে হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধার করতে যাবেন না। আমাদের নেতার নির্দেশে কোথাও কিছু হয় নাই। আজকে অনেকেই মনে করেন ভোট দিলেই তো বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। ভোট যত পিছানো যায় চেষ্টা করি। তিন মাস, ছয় মাস, নয় মাস, এক বছর। পিছাইয়া কোনো লাভ নাই। যখনই নির্বাচন হবে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে ইনশাল্লাহ।
এ্যাজা´ ইউনিট বিএনপির সভাপতি মাহবুব মাষ্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, প্রধান বক্তাছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ সাদী, কাজী মিজানুর রহমান, এড. মোহাম্মাদ আলী বাবু, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, মোল্লা সোহাগ, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, আলমগীর হোসেন, নেহিবুল হক নেহিম, ইঞ্জি. নুর ইসলাম বাচ্চু, শওকত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, মাসুম শেখ, আনোয়ার হোসেন, রইজ উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম সোহেল, বেলাল হোসেন, মাসুম বিল্লাহ, বিপ্লব. শাম্মি আক্তার মলি, রেশমি সুলতানা, ইমদাদ মোড়ল প্রমূখ। এরআগে তিনি খানজাহান আলী থানার বিভিন্ন এলাকায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।