দেশে জন্ম এবং মৃত্যুহার বেড়েছে। প্রতি হাজার জনসংখ্যার মধ্যে স্থূল জন্মহার ১৯ দশমিক ৮, যা ২০১৮ সালে ছিল ১৮ দশমিক ৩। স্থূল জন্মহারে ২০১৮ সাল থেকে গত পাঁচ বছরে গড় প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৬ শতাংশের বেশি। সম্প্রতি বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২২ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, পল্লী এলাকার জন্মহার শহর এলাকার জন্ম হারের চেয়ে বেশি, প্রতি হাজারে যা যথাক্রমে ২০ দশমিক ৪ ও ১৬ দশমিক ৬। এছাড়া ২০২২ সালে মোট প্রজনন হার ২ দশমিক ২০ এ দাঁড়িয়েছে যা ২০২১ সালেও প্রতিস্থাপিত হারের নিচে ছিল। সন্তান প্রসবের ধরন ভেদে দেখা গেছে যে, ২০২২ সালে প্রতি পাঁচটির মধ্যে দুটির বেশি সন্তান জন্ম দেয়া হয়েছে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে, যা জনস্বাস্থের জন্য একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নির্দেশ করে।
একইভাবে ২০২২ সালে পাঁচজনের মধ্যে দুজনের বেশি প্রসূতি সন্তান প্রসব করেছেন বাড়িতে, যা মাতৃস্বাস্থ্যের উচ্চ ঝুঁকি প্রদর্শন করে। দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী নিকট প্রসবপূর্ব যত্নসেবা গ্রহণের ক্ষেত্রেও বেশ শিথিলতা লক্ষ্য করা গেছে। ২০২২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সুপারিশকৃত ন্যূনতম চারবার প্রসবপূর্ব যত্ন সেবা গ্রহণকারীর হার পাওয়া গেছে প্রতি তিনজনে একজন গর্ভবতী নারীকে।
২০২২ সালে গর্ভাবস্থার ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা গেছে ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ গর্ভবতী নারী জীবিত শিশুর জন্ম দিয়েছেন। মোট গর্ভবতী নারীদের ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ মৃত শিশু জন্ম দিয়েছেন। ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাতের মাধ্যমে গর্ভাবস্থার সমাপন হয়েছে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। ইচ্ছাকৃত গর্ভপাতকৃত নারীদের প্রায় অর্ধেক ৪৯ দশমিক ৮২ শতাংশ গর্ভপাতকৃত ভ্রুনের লিঙ্গ কি ছিল তা জানেন না বলে জানিয়েছেন। কম বয়সী নারীদের বড় অংশের ক্ষেত্রে (৩৪ বছর বয়স পর্যন্ত) গর্ভপাতকৃত বেশিরভাগ ভ্রুণ ছিল ছেলে। অন্যদিকে ৩৫ বছর বা তার বেশি বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভপাতকৃত বেশিরভাগ ও ভ্রুণ ছিল মেয়ে।
আরভিআরএস ২০২২ অনুযায়ী, বাংলাদেশের মৃত্যুহার প্রতি হাজার জনসংখ্যায় ৫ দশমিক ৮ জন। যা ২০২১ সালের তুলনায় বেড়েছে। পল্লী এলাকায় মৃত্যুহার (৬.০) যা শহর অঞ্চলের তুলনায় (৫.১) বেশি। এক বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার ২০২১ এর তুলনায় ২০২২ সালে বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি হাজারে ২৪ জন হয়েছে। বিগত কয়েক বছরের মতোই এ বছরও ছেলে শিশুদের মৃত্যুহার কন্যা শিশুদের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে ২০২১ এর তুলনায় মৃত্যুহার কমেছে ২০২২ সালে।
খুলনা গেজেট/ টিএ