খুলনা, বাংলাদেশ | ১৬ কার্তিক, ১৪৩১ | ১ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দিতে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার : তথ্য উপদেষ্টা
  ২ বছরে সরকারিভাবে ৫ লাখ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে : উপদেষ্টা আসিফ
বিক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে নিহত ডাকাত কামরুল

দেবহাটায় দেশীয় অস্ত্র ও বোমাসহ আটক ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালি এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় বিক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে কামরুল ইসলাম (৪০) এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোররাত ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালির মৎস্যঘের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরো ৬ ব্যক্তিকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সদস্যরা।

গণপিটুনিতে নিহত কামরুল ইসলাম সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালি এলাকার মৃত আবু বকর গাজীর ছেলে।

অভিযানে আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের নরিম সরদারের ছেলে নুরুজ্জামান, আশাশুনি উপজেলার শ্রীকলস গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে সোহেল, কালিগঞ্জ উপজেলার বাবুরাবাদ গ্রামের রুহুল আমিন গাজীর ছেলে মেহেরাব আলী, একই উপজেলার কাশিবাটি গ্রামের রুহুল আমিন সরদারের ছেলে হাসিবুল হাসান সবুজ, আকরাম গাজির ছেলে রবিউল আউয়াল, বদরতলা এলাকার জামিল ফকিরের ছেলে আবুল হোসেন।

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মাদ জানান, খলিষাখালিতে ১ হাজার ৩শ’ ২৮ বিষা মৎস্যঘের নিয়ে বহুদিন ধরে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছিল। গত ৫ আগস্টের পরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সুযোগে খলিয়াখালিতে অস্ত্র নিয়ে মৎস্যঘের দখলে নিতে বিভিন্ন সময় মহড়া দিতে থাকে। এতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে শুক্রবার (১ নভেম্বর)) ভোর ৫টার দিকে খলিষাখালিতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ টি হাত বোমা, ৩০ টি ছোট হাতবোমাসহ বিভিন্ন দেশী অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আরিফুল হক জানান, খলিশাখালি এলাকায় অস্ত্র, গোলাবারুদ, বোমা মজুদ রেখে মাছের ঘের দখল, এলাকায় ডাকাতি সহ নান অপরাধ করে আসছিল আকরাম হোসেন, আরিফুল ইসলাম পাড়, সাইফুল ইসলাম গাজী সহ তাদের বাহিনী। সেই মোতাবেক দেবহাটার তিনটি অবস্থান থেকে এক সাথে অপারেশন পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে প্রথমে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পরে দেশীয় বোমা এবং ককটেল বোমা ছুড়তে থাকে তারা। এমনকি দূর থেকে আমাদের লক্ষ্য করে পাইপগান দিয়ে গুলি চালায়।

এক পর্যায়ে স্থানীয় দেড় শতাধিক বাসিন্দারা কামরুল সহ কয়েকজনকে ধরে ফেলে। বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ ডাকাত কামরুলকে গণপিটুনি দেয়। পরে সেনা সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত কামরুল একজন দন্ডিত অপরাধী এবং ডাকাত ছিলেন। অন্যান্য আটককৃত অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেবহাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় ৫টি রামদা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ৭৫০ গ্রাম বারুদ, ৪টি মোবাইল ফোন, ১৫টি হাত বোমা, ৭ প্যাকেট হাত বোমাই ব্যবহৃত স্প্রিন্টার ও ৩৮ টি হাত বোমা উদ্ধার হয়েছে।

তবে নিহতের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন জানান, তার স্বামীকে মৎস্যঘের থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

খুলনা গেজট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!