বায়ু ও বিষাক্ত বর্জ্যের দূষণে ২০১৫ সাল থেকে বিশ্বে প্রতিবছর ৯০ লাখ মানুষ মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৭ মে) প্রকাশিত ল্যানসেট প্লানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
বিশ্বের মৃত্যুর তথ্য-উপাত্ত ও দূষণের মাত্রা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা বলছেন, শিল্পপণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে নগরায়নের ফলে বায়ুদূষণে মৃত্যু বেড়েছে ৭ শতাংশ। প্রতি ছয়জনে একজনের মৃত্যু হচ্ছে দূষণের কারণে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখা ১০ দেশের বেশিরভাগই আফ্রিকার। বিশেষ করে চাদ, আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ও নাইজারে মৃত্যুর বড় কারণ বায়ু দূষণ।
অতিরিক্ত দূষণের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি ডলার ক্ষতি হচ্ছে। অথচ তুলনায় দেখা যাচ্ছে, করোনা মহামারিতে এখন পর্যন্ত ৬৭ লাখ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
পিওর আর্থ নামে দূষণ নিয়ে কাজ করা একটি অলাভজনক সংগঠনের প্রধান ও গবেষণার সহলেখক রিচার্ড ফুলার বলছেন, ‘আমরা একটি গরম পাত্রে বসে আছি এবং ধীরে ধীরে জ্বলছি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, ম্যালেরিয়া ও এইচআইভির মতো পরিবেশ দূষণে অত গুরুত্ব দিচ্ছি না।’
নিউইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অন হেলথ অ্যান্ড পলিউশনের নির্বাহী পরিচালক ও গবেষণা নিবন্ধের সহলেখক রাকায়েল কুপকা জানাচ্ছেন, ভারী ধাতু, কৃষি রাসায়নিক পদার্থ ও জীবাশ্ম জ্বালানি নির্গমনের সংস্পর্শে আসার কারণে মৃত্যু ২০০০ সালের তুলনায় ৬৬ শতাংশ বেড়েছে।
তবে ঘরের বাইরের বায়ু দূষণের প্রসঙ্গ আসলে ব্যাংকক, চীন ও মেক্সিকো সিটির মতো বড় বড় শহরগুলোর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু ছোট শহরগুলোতে দূষণের মাত্রা বাড়ছেই।