তথ্য দিতে আবেদনের প্রেক্ষিতে বাগেরহাটের পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানকে ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে। গত ১ নভেম্বর রবিবার মেয়রের পক্ষে এ সময় চাওয়া হয়। তার নিকট আত্মীয় মারা যাওয়ার কারণে দুদকের নির্দেশনা মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ে তথ্য দিতে না পারায় সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হয়। সোমবার রাত ৯টায় খুলনা গেজেটকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেয়র নিজেই।
জানা যায়, বাগেরহাটের পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পৌরসভার মালিকানাধীন বিভিন্ন মার্কেটের দোকান বরাদ্দের লাখ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশক্রমে অনুসন্ধান শুরু হয়। সে মোতাবেক গত ৭ অক্টোবর দুদকের খুলনার সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ পৌর মেয়র হাবিবুর রহমানকে একটি নোটিশ দেন। নোটিশে ২০ অক্টোবর ২০২০ তারিখের মধ্যে খুলনা দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে সব রেকর্ডপত্র দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান কিছু কাগজপত্র দুদক কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন বলে সোমবার রাতে খুলনা গেজেটকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ। তিনি আরও জানান, ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তিনি কিছু কাগজপত্র ইতিমধ্যে জমাও দিয়েছেন। তবে তার আত্মীয় মারা যাবার কারণে বাকি কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন।
পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান খুলনা গেজেটকে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। আমি কিছু কাগজপত্র দুদকে দিয়েছি। আর কিছু কাগজপত্র দেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় নিয়েছি। আমার নাতনী ৬/৭ দিন আগে মারা যাওয়ায় আমি মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। তবে দুদকের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সময়মত দেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/নূর