ফুটবল গোলের খেলা। সেই গোলটাই পেলো না বাংলাদেশ। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেও প্রতিপক্ষের গোলমুখ খুলতে পারেনি বাংলাদেশের সুমন রেজা, জীবনরা। ফল গোলশূন্য ড্র। ২১ বছর আগে সর্বশেষ সাক্ষাতে দুই দলের ম্যাচটি ড্র হয়েছিল ২-২ গোলে, এবার গোলশূন্য।
মঙ্গলবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে হাজার হাজার সমর্থকের সামনে নতুন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল এক চেটিয়া খেলেও গোল আদায় করতে পারেনি। দুই অর্ধেই বল দখলের লড়াইয়ে বাংলাদেশ ছিল এগিয়ে। কিন্তু গোলের দেখা আর মিলেনি।
বাংলাদেশের ভাগ্যও সহায় ছিল না। ৪১ মিনিটে সুমন রেজার শট ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। ৭২ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার শট কর্নারের মাধ্যমে রুখে দেন মঙ্গোলিয়ার গোলরক্ষক।
২৪ মার্চ মালেতে মালদ্বীপের কাছে ২-০ গোলে হারের পর ঘরের মাঠে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় প্রত্যাশা ছিল সবার। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি পরিপূর্ন করে দিয়েছিল দর্শকরা। তারা সারাক্ষণ বাংলদেশ দলকে সমর্থন দিয়ে গেছেন। কিন্তু গোল না পাওয়ায় ভগ্ন হৃদয় নিয়েই ঘরে ফিরেছে সিলেটের দর্শকরা।
আক্রমণভাগে সুমন রেজা, রাকিব ও ইব্রাহিমরা বারবার চেষ্টা করে মঙ্গোলিয়ার রক্ষণ তছনছ করলেও গোলমুখ খুলতে পারেনি। পুরো ম্যাচ মঙ্গোলিয়া খেলেছে রক্ষণাত্মক কৌশলে শেষ পর্যন্ত তারা রক্ষণদূর্গ ঠিক রেখে বাংলাদেশকে রুখে জয়ের সমান ড্র নিয়ে দেশে ফিরতে পারছে।
বাংলাদেশের নতুন স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার অধীনে বাংলাদেশ দুই ম্যাচ খেলে একটি হেরে একটি ড্র করলো। তবে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের আক্রমণাত্মক ফুটবল সবার নজর কেড়েছে। বাংলাদেশের সবই ছিল ঠিকঠাক। শুধু গোলটাই আদায় করতে পারেনি।
এ ম্যাচে বাংলাদেশ বেশ কয়েকবার লম্বা থ্রো দিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রথমে ইয়াছিন ও পরে রায়হানের লম্বা থ্রোয়ে ভেঙেছে মঙ্গোলিয়ার রক্ষণ। তবে তারা গোলের মুখ খুলতে দেয়নি। ড্র করার যে কৌশল নিয়ে খেলেছে অতিথি দলটি তাতে শতভাগ সফল তারা।
খুলনা গেজেট/কেএ