মহাষষ্ঠীতে ভক্ত-অনুরাগীদের ঢাকঢোল, কাঁসা-শঙ্খের আওয়াজ ও উলুধ্বনিতে মাতৃরূপী দেবীর আবাহন করা হয়েছে সারা দেশে। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। মন্দিরে, মণ্ডপে তাই এখন উৎসবমুখর আমেজ। দেবীভক্তদের পদচারণায় মুখরিত।
আজ বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমী। কাল শুক্রবার মহাষ্টমী ও শনিবার মহানবমী। পঞ্জিকামতে, এবার শনিবার মহানবমী পূজার পরই দশমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়া দশমী উদযাপন করা হবে আগামী রোববার। সেদিন বিকালে বিজয়া শোভাযাত্রা বের হবে।
সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী, এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দো ল্লায় বা পালকিতে। পালকি বা দো ল্লায় দেবীর আগমন বা গমন হলে এর ফল হয় মড়ক। খাদ্যশস্যে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হবে ও রোগব্যাধি বাড়বে। এ ছাড়া দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্র মতে, দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফ ল্লাফল হয় ছত্রভঙ্গ। এটা সামাজিক ও রাজনৈতিক এলোমেলো অবস্থাকে ইঙ্গিত করে।
উলেখ্য, গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে দেবীপক্ষ ও শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্নের শুরু হয়।
নির্বিঘেœ দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হবেÑর্যাব ডিজি : র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুর রহমান বলেছেন, দেশের মানুষের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খ ল্লা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে। অন্যবারের তুলনায় এবার দুর্গাপূজা অত্যন্ত ভালোভাবে উদ্যাপিত হবে। বুধবার বনানী পূজামণ্ডপে র্যাবের নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমরা বাঙালি জাতি বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব অত্যন্ত আনন্দ, উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে উদ্যাপন করে থাকি। এবারের পূজাতেও আমরা সবাই মিলে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করব। এবারের পূজা উপলক্ষ্যে ১ অক্টোবর থেকে র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সাদা পোশাকে থাকা র্যাব সদস্যরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছেন। র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খ ল্লা বাহিনীর ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। এবার নিরাপত্তা বিধানের জন্য আইনশৃঙ্খ ল্লা বাহিনীর সঙ্গে বিশেষভাবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। আশা করছি, কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়াই অত্যন্ত সুন্দরভাবে এবারের পূজা উদ্যাপন হবে।
খুলনা গেজেট/এইচ