বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনাল না খেলায় তামিম ইকবালের ছুটি শুরু হয়েছিল ২১ অক্টোবর। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের ছুটি শুরু হলো সোমবার থেকে। খেলা শেষ, এখন দুই সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক ছুটি পেয়েছেন ক্রিকেটাররা।
তবে ব্যক্তিগত অনুশীলন চালিয়ে যেতে বাধা নেই তাদের। বিসিবির এইচপি ইউনিটের ক্যাম্প চলার ফাঁকে মিরপুরে অনুশীলন করতে পারবেন ক্রিকেটাররা।
শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ ক্রিকেটার নিয়ে শুরু হয় জাতীয় দলের ক্যাম্প। এর আগে ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করেন। দ্বীপরাষ্ট্রে সফর স্থগিত হলেও ক্রিকেটারদের ক্যাম্প চালু ছিল। জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে নিজেদের ভেতরেই চলে প্রস্তুতি ম্যাচ। লাল বলে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর সাদা বলে তিন দলের ম্যাচ আয়োজন করে বিসিবি। প্রতিযোগিতায় যোগ দেন এইচপি দলের ১৫ ক্রিকেটার। সেই আয়োজনের পর্দা নেমেছে রোববার।
১৫ নভেম্বর ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে শুরু হবে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। এজন্য দুই সপ্তাহের ছুটি দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের। বিদেশি কোচরা এরই মধ্যে ছুটিতে নিজ দেশে চলে গেছেন।
জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার কারণে ক্রিকেটাররা ছিলেন হোটেল সোনারগাঁওয়ে। সেখান থেকে বের হওয়ার অনুমতি ছিল না তাদের। হোটেল থেকে স্টেডিয়াম, আবার স্টেডিয়াম থেকে হোটেল ছিল তাদের সীমানা।
দীর্ঘ ক্যাম্প চলার ফাঁকে তিনদিন করে বিরতি পেয়েছিলেন। পরে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে আবার তারা জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকে যান। এখন পর্যন্ত পাঁচবার তাদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। ভালো খবর হচ্ছে, কেউই করোনায় আক্রান্ত হননি।
মধ্য নভেম্বরে পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার জন্য আবার মাঠে ফিরবেন ক্রিকেটাররা। এর আগে আবার করোনাভাইরাসের পরীক্ষা দিয়ে ‘নেগেটিভ’ হয়ে হোটেলে উঠবেন তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকরা। এ টুর্নামেন্টে তখন খেলবেন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফেরা সাকিব আল হাসান। হ্যামস্ট্রিং চোটে ভুগতে থাকা মাশরাফিরও এই প্রতিযোগিতায় খেলার কথা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএমআর