ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের শুরু থেকেই উড়ছে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দল। প্রথম ম্যাচে উজবেকিস্তানের সঙ্গে জমজমাট লড়াইয়ের পর ২-১ গোলে জিতেছিলেন লিওনেল মেসির উত্তরসূরীরা। সেই ফর্ম তারা এবার দ্বিতীয় ম্যাচেও টেনে গেলেন। গুয়েতেমালাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠে এলো আলবিসেলেস্তারা। তবে এই ম্যাচে চলমান বিশ্বকাপের প্রথম লালকার্ড দেখল দু’দল। আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার টমাস অ্যাভিলেস এবং গুয়াতেমালা মিডফিল্ডার কার্লোস সান্তোস কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দিবাগত রাতে সান্তিয়াগো দেল এস্তারো স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। ম্যাচের মাত্র ১৭ মিনিটেই স্বাগতিকদের আনন্দে মাতান ফরোয়ার্ড অ্যালেজো ভেলিজ। জুয়ান কার্লোসের ক্রস থেকে তিনি দলকে প্রথম লিড এনে দেন।
এরপর আর্জেন্টিনা ডিফেন্সের বেশ পরীক্ষায় ফেলেন প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগ। সেই চেষ্টা স্বাগতিক গোলরক্ষক ফেডেরিকো গোমেজ পরাস্ত করে দেন। ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালানোর একপর্যায়ে উল্টো আঘাত পেয়ে বসে গুয়াতেমালা। মিডফিল্ডার কার্লোস ৫৮ মিনিটে লাল কার্ড দেখলে সেখান থেকে তারা আর কামব্যাক করতে পারেনি। এরপর তারা আরও দুই গোল হজম করে।
১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পরপরই বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামা লুকা রোমেরো আর্জেন্টিনার ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে গোল করেন তিনি। তবে আর্জেন্টিনাও ম্যাচের ৮২ মিনিটে বেশ ধাক্কা খায় ডিফেন্ডার টমাস অ্যাভিলেস লাল কার্ড দেখায়। পেনাল্টি এরিয়াতে তার হাতে লাগায় ১০ জনের আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গোলের সুযোগ পেয়ে যায় গুয়াতেমালা। তবে সেখান থেকে স্পট কিকে ব্যর্থ হন প্রতিপক্ষ ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কারদোজা। তিনি বলটি বারের ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন।
কার্ডের ধাক্কা খেলেও ম্যাচ জয়ের জন্য ইতোমধ্যেই পর্যাপ্ত লিড নিয়ে ফেলেছিল আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। শেষ দিকে ইগনাচিও মায়েস্ত্রোর জোরালো শট নিলে, সেটি ঠেকিয়ে দেন গুয়াতেমালা গোলরক্ষক জর্জ মোরেনো। কিন্তু বল ক্লিয়ার করতে পারেননি তিনি। ফলে ফিরতি বল পেয়ে ম্যাক্সিমো পেরোন ফাঁকা জালে বল পাঠিয়ে দেন। ফলে ৩-০ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
শীর্ষস্থান টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে আগামী ২৬ মে গ্রুপপর্বের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনা নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। এখন পর্যন্ত গোছানো খেলা উপহার দিয়েছে হ্যাভিয়ের মাসচেরানোর দল। একইদিন মাঠে নামবে গ্রুপের বাকি দু’দল গুয়াতেমালা-উজবেকিস্তান।
খুলনা গেজেট/এনএম