দিল্লির পর এবার ভারতের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কলকাতা সহ সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ উত্তাল হল। কলকাতায় ৯ জানুয়ারি থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সারা ভারত কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতি লাগাতার ধর্ণা ও বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করেছে ।
এই ধর্ণা ও বিক্ষোভ অবস্থানকে সমর্থন দিয়েছে ১৬টি বামপন্থী দল ও কংগ্রেস । রয়েছে অন্তত ৪১টি গণ সংগঠন ও সামাজিক সংগঠন এর পিছনে রয়েছে। প্রতিদিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কলকাতার পার্শ্ববর্তী দুই চব্বিশ পরগণা, হুগলী, হাওড়া ও দুই মেদিনীপুর থেকে কৃষক- খেতমজুররা দলে দলে কলকাতার ধর্মতলার বিক্ষোভ অবস্থান সামিল হচ্ছেন।
সারা ভারত কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষে কার্তিক পাল বলেন , ১৩ জানুয়ারি কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ সহ সমগ্র ভারতে কৃষি আইনের কপি জ্বালানো হবে,১৮ জানুয়ারি মহিলা কিষাণ দিবস পালন করা হবে, ২০-২২ জানুয়ারি কলকাতা জেলাগুলিতে ব্যাপকতর অবস্থান করা হবে। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে সারা ভারতে কৃষকরা ট্রাক্টর নিয়ে কিষাণ প্যারেড করবে।
অন্যদিকে সারা ভারত কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতির অন্যতম নেতা আইনজীবী অভীক সাহা বলেন, ব্রিটিশ আমলে অবিভক্ত বাংলায় কৃষকদের তেভাগা আন্দোলনে এক কোটি কৃষক কলকাতার রাজপথ কাঁপিয়ে দিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে না। আমরা কৃষি আইনের সাময়িক স্হগিত চাই না। আমরা চাই জনবিরোধী কৃষি আইন বাতিল করতে হবে । এছাড়া কৃষকদের কাছে কোনো পথ খোলা নেই। মঙ্গলবার আন্দোলনেরর চতুর্থ দিন। আন্দোলন দিনকে দিন কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে । পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি জেলাতেই আন্দোলন এখন তুঙ্গে।
খুলনা গেজেট/কেএম