আচমকা বদলে গেল দিঘার সমুদ্র। নীলাভ রঙের বদলে সমুদ্রের জলের রং কালচে ঘোলাটে হয়ে গিয়েছে। শনিবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয়দের। জলের রঙের এই পরিবর্তন দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায় পর্যটকদের মধ্যেও। ঘোলাটে জলে স্নান করা কতটা নিরাপদ হবে, তা ভেবে দোলাচলে পড়েন অধিকাংশ পর্যটক। দিঘায় ঘুরতে এসে স্নান না করেই ফিরে যান অনেকে। দিঘায় সমুদ্রের জলের এমন চেহারা সাম্প্রতিক কালে কখনও হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের।
রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধ অনেকটা শিথিল হয়েছে। ছুটি কাটাতে শনিবার এবং রবিবারে অনেকটাই ভিড় বেড়েছে দিঘায়। কিন্তু সকালে সমুদ্রস্নানে গিয়েই পর্যটকরা দেখেন, বদলে গিয়েছে জলের রং। দিঘার সমুদ্রের জলের রং নীলাভ হলেও তটে আছড়ে পড়ে বালি মেশানো জল। সেই জলের বদলে শনিবার সমু্দ্রতটে আছড়ে পড়ছিল কাদামাখা কালচে জল। কিছু মানুষ সেই জলেই দাপাদাপি করলেও অধিকাংশ পর্যটক জলের রং দেখে সমুদ্র থেকে নিজেদের দূরে রেখেছিলেন।
মুর্শিদাবাদ থেকে সপরিবারে দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন নাসরিন বিবি। তিনি বলেছেন, “সকালে স্নান করতে সবাই সমুদ্রে এলাম। কিন্তু ঘোলা জলে নামতে সাহস হচ্ছিল না। বাচ্চাদের নিয়ে কিছুটা নামলেও স্নান করিনি। দিঘার সমুদ্রে এমন জল আগে কখনও দেখিনি।”
কিন্তু হঠাৎ কেন বদলে গেল জলের রং? এ নিয়ে সমুদ্রবিজ্ঞানী প্রসাদ টুডু বলেছেন, “গোটা বছর জলের চেহারা অন্য রকম হলেও এই মুহূর্তে বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যার জল সমুদ্রে মিশে যাওয়ার ফলেই দিঘার সমুদ্রের জলের এমন পরিবর্তন ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে সমুদ্রের জলের দূষণ থেকেও এমনটা হতে পারে।” তবে শীঘ্রই এই পরিস্থিতির বদল ঘটবে বলেই আশাবাদী তিনি। তিনি জানিয়েছেন, গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এএ