খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  হাইকোর্টে ২৩ জনকে অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ, আজ শপথ

দিঘলিয়ায় মাধ্যমিকের শতভাগ, ১৮’র উপরে ৭৩% টিকার আওতায়

একরামুল হোসেন লিপু, দিঘলিয়া

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১২-১৮ বছর বয়সী শতভাগ শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ এর টিকা দান সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া উপজেলাধীন ৬ টি ইউনিয়নের ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে এ পর্যন্ত ৭৩% জনসাধারণকে টিকা দান সম্পন্ন হয়েছে। যা চলমান রয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান খুলনা গেজেট কে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী সারা দেশে ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রম শতভাগ কার্যকর করার নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসের তত্ত্বাবধান এবং সহযোগীতায় আমরা কার্যক্রম শুরু করি। অত্র উপজেলায় ১৬ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪ টি কলেজ, ১টি আলিয়া মাদ্রাসাসহ মোট ২১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরী করি এবং সেই মোতাবেক গত ৮ জানুয়ারী থেকে টিকা কার্যক্রমের শুরু করি। আমরা মোট ৯ হাজার ২৯০ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দান করে শতভাগ সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে আমরা শিক্ষার্থীদের ২য় ডোজের টিকা দান কার্যক্রমের আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে অধ্যবধি অত্র উপজেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ৭’শ ৬৫ জন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯ জন। গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টিকাদান কার্যক্রমে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর ১ম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৯০ হাজার ৪১ জন। ২য় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৬৯ হাজার ২০০ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারী থেকে শুরু হওয়া ৩য় ডোজ (বুস্টার ডোজ) নিয়েছেন ২ হাজার ৫০০ জন। জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে এ উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে শতকরা ৭৩ % জনগণের টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলাধীন ৩৫ টি কওমি মাদ্রাসার ১২-১৮ বছর বয়সী এ পর্যন্ত ৬’শ ৯৪ জন শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছ। সেটি এখনও চলমান আছে।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া র‍্যাপিড টেষ্টে এ উপজেলায় ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১হাজার ৯৩৯ জনের এন্টিজেন বা র‍্যাপিড টেষ্ট করা করা হয়েছে।

অন্যদিকে করোনার ৩য় ধাপে এ উপজেলায় ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪৬ জন। এদের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহাবুবুল আলম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহাবুবুল আলম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার, নার্স, উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টারের প্রোভাইডার, আউট সোর্সিং এর স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। যাদের সংখ্যা ১০ জনের ঊর্ধ্বে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!