খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৮ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দুর্গাপূজার ছুটি একদিন বাড়িয়ে আজই প্রজ্ঞাপন জারি : মাহফুজ আলম
  সাবেক সচিব আমিনুল ও নজিবুর রহমান ৩ দিনের রিমান্ডে
  যাত্রাবাড়ি থানার মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে দীপু মনি-সালমান-পলক-মামুন
  সুন্দরবনের বাঘশুমারির চূড়ান্ত ফল ঘোষণা আজ

দিঘলিয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দুই মামলায় আসামী ২৭৪ জন, এখনও পুরুষশূণ্য গ্রামটি

দিঘলিয়া প্রতিনিধি

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় মোট আসামীর সংখ্যা ২৭৪ জন। এর মধ্যে এজাহারভূক্ত আসামীর সংখ্যা ১৫৪ জন বাকী আসামীরা হলো অজ্ঞাতনামা। এদিকে ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও প্রতিপক্ষের হামলা, ভাংচুর লুটপাট মামলা এবং পুলিশি হয়রানির ভয়ে গ্রামটি পুরুষশূণ্য হয়ে পড়েছে।

গত ২৯ মে সন্ধ্যায় বিলে গরুকে ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে সংঘর্ষের ঘটনাটি এলাকার মোল্যা বংশ এবং মীর বংশের মধ্যে ‘গ্রাম্য কাইজ্যা’ এ রুপ নেয় এবং সীমান্তবর্তী তেরখাদা এবং কালিয়া উপজেলার মোল্যা এবং মীর বংশের লোকজন জড়িয়ে পড়ে।ঘটনার জের ধরে পরেরদিন ৩০ মে সকালে উভয় বংশের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের লোকজন লাঠি, সোড়কি, বল্লবসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়। আহতদের অধিকাংশ সোড়কি বিদ্ধ। তাদের অধিকাংশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আহতদের মধ্যে মাহামুদ আলী মীর (৪০) পিতা শাহাদাৎ মীর এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁর অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।

ঘটনার পরের দিন সহিংস এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মীর বংশের পক্ষে মোঃ আতিক মীর বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭০/৮০ জনের নামে দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নামলা নং ১২ তাং ৩১ /০৫/২০২১। অন্যদিকে ঘটনার ২ দিন পর মোল্যা বংশের পক্ষে সেকেন মোল্যা বাদী হয়ে ২ জুন (বুধবার) রাতে প্রতিপক্ষের ৯৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩০/৪০ জনের নামে দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১ তাং ০২/০৬/২০২১। দুই মামলায় মোট আসামীর সংখ্যা ২৭৪ জন। এর মধ্যে এজাহারভূক্ত আসামী ১৫৪ জন। আর অজ্ঞাতনামা আসামীর সংখ্যা ১২০ জন।

দিঘলিয়া থানা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রিপন কুমার সরকার বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দিঘলিয়া থানার পৃথক দু’জন এসআই এর নেতৃত্ব ২ টি পেট্রোল পার্টি এবং সীমান্তবর্তী তেরখাদা এবং কালিয়া থানার ১টি করে মোট ৪ টি পেট্রোল পার্টি এলাকায় সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। গ্রামবাসীকে ভীত না হওয়ার জন্য তিনি আহবান জানান।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!