খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোল্যা আকরাম হোসেনের বসত বাড়িতে দূর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। চুরি হওয়ার ২৪ ঘন্টা পরও নগদ টাকা এবং স্বর্নালংকার উদ্ধার হয়নি। দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ বলছে চোরাইকৃত টাকা এবং স্বর্নালংকার উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মোল্যা আকরাম হোসেন খুলনা গেজেটকে বলেন, শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাত আনুমানিক ৮ টার সময় আমি এবং আমার স্ত্রী দিঘলিয়া উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম বেগম পপিসহ পরিবারের সবাই বোগদিয়া স্কুল মাঠে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। এ সুযোগে সংঘবদ্ধ চোরের দল আমার বসতবাড়ি সেনহাটী ইউনিয়নের উত্তর চন্দনীমহল (বোগদিয়া) গ্রামের রাঙ্গার কোয়াটার সংলগ্ন বসতবাড়ির গেটের তালা ভেঙ্গে ঘরের ভীতর প্রবেশ করে। চোরের দল আমার বাসায় ব্যবসায়ীক কাজে রক্ষিত নগদ ৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৩’শ টাকা এবং আমার স্ত্রী’র ব্যবহৃত ৭ থেকে ৮ ভরি স্বর্নালংকার নিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। ঘটনার সংবাদ শুনে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসানউল্লাহ চৌধূরী এবং ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রিপন কুমার সরকার। আজ শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সার্কেল অফিসার রাজু আহন্মেদ।
মোল্যা আকরাম হোসেন আরো বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের ব্যস্ততার কারণে থানায় অভিযোগ দিতে বিলম্ব হয়েছে।
ইনন্সপেক্টর (তদন্ত) রিপন কুমার সরকার খুলনা গেজেটকে বলেন, রাত সাড়ে ৮ টায় মোল্যা আকরাম হোসেন থানায় উপস্থিত হয়ে এবং নিজে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে একটি এজাহার দায়ের করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা পরিষদ সদস্য মোল্যা আকরাম হোসেনের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনাটি এলকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই