২৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টা। শীতের রাত হওয়াই গ্রামের রাস্তায় লোক চলাচল সীমিত। দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি সেনহাটী কাটানীপাড়ার উদ্দেশ্য রওনা হয়েছিলেন গৃহবধূ (১৮)। হাজীগ্রাম বেলে ঘাট পার হয়ে হাজীগ্রাম সড়কে আসলে সেনহাটী ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে মীর্জার ছেলে ডালিম সরদার (৩০) নামে এক যুবক গৃহবধূকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাঁর সঙ্গ নেয়। কিছুদূর যাওয়ার পর ডালিম সরদারের সাথে যোগ দেয় অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ যুবক। এরপর গৃহবধূকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পাশ্ববর্তী মাছের ঘেরে নিয়ে জোড়পূর্বক শ্লীলতাহানি করে। এমন অভিযোগ গৃহবধূ ও তার মায়ের।
মেয়েটি পরে বাড়ি পৌঁছে ঘটনাটি তাঁর মাকে খুলে বললে ঘটনার রাতেই (২৯ ডিসেম্বর) মা এবং মেয়ে দিঘলিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আহসানউল্লাহ চৌধূরীকে শ্লীলতাহানির ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর দিঘলিয়া থানা পুলিশ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ ব্যাপারে শ্লীলতাহানির শিকার মেয়েটির মা বাদী হয়ে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ডালিম সরদারসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন (যার নং-৯)। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
এদিকে ধর্ষণের কঠোর আইন প্রয়োগ, বাস্তবায়নের দাবিতে এবং আসামী ডালিম সরদারকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার বিকালে উপজেলা চৌরাস্তার মোড়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর মিছিলের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অলোর মিছিলের উপদেষ্টা জি এম আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মানব বন্ধনে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ রবিউল ইসলাম রাজিব, সৈয়দ জাহিদুজ্জামান, মহিউদ্দিন পারভেজ, সজল কুমার বিশ্বাস, আসমা আক্তার, সৈয়দ শাহাজান, সাথী আক্তার, রেদোয়ান আহন্মেদ প্রমুখ।
খুলনা গেজেট / এমএম