খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮

দারুণ জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেলো ইংল্যান্ড

ক্রীড়া প্রতিবেদক

করোনা পরবর্তী নিজেদের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত পারলো না পাকিস্তান। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোডে দুই দলের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিকরা অনেকটা হেসে খেলেই একদিন হাতে রেখে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটোর জয় পায়। দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ২৭৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চতুর্থ দিন তৃতীয় সেশনে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো স্বাগতিকরা।

যদিও ২৭৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১৭ রানে পাঁচ উইকেট নেই ইংল্যান্ডের। জয়ের জন্য প্রয়োজন আরও ১৬০ রান। হাতে পাঁচ উইকেট, তবে মাঠে স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে জস বাটলার এবং ক্রিস ওকস। সেখান থেকে কোনোভাবেও কী জয়ের কথা ভেবে রেখেছিল ইংলিশ শিবির?

পাকিস্তানের উল্লাস দেখে সেটি মনে হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। সফরকারীরা কেবল শেষ হাসি হাসার অপেক্ষায়। তবে বাটলার এবং ওকস ভেবে রেখেছিলেন ভিন্ন কিছু। উইকেট হারানোর শঙ্কায় না ভুগে ওয়ানডের মেজাজে খেলতে থাকেন দুই ব্যাটসম্যান। এই দুই ব্যাটসম্যানের বীরত্বে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। আর সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

এদিকে প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানের লিড নিয়েও হারের মুখ দেখলো সফরকারি পাকিস্তান। মূলত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতা ডুবিয়েছে সফরকারীদের। তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৭ রান তুলতে ৮ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

চতুর্থ দিন ইয়াসির শাহ এবং আব্বাস আলী যখন মাঠে নামেন তখন পাকিস্তান এগিয়ে ২৪৪ রানে। সেখান থেকে দলের রানের সঙ্গে আরও ৩২ রান যোগ করে পাকিস্তান। এর বড় কৃতিত্ব ইয়াসিরের। ২৪ বলে ঝড়ো ৩২ রান করেন এই লেগ স্পিনার। ইংল্যান্ডের পক্ষে ব্রড ৩টি এবং ওকস-স্টোকস নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

২৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ধীর ব্যাটিংয়ে এগুতে থাকে ইংল্যান্ড। তবে ২২ রানের মাথায় আব্বাসের বলে ররি বার্নসকে (১০) হারায় ইংল্যান্ড। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সিবলি এবং রুট গড়েন ৬৪ রানের জুটি। তবে ইয়াসিরের বলে ৩৬ রান করে সিবলি ফিরলে ভাঙে জুটিটি।

এরপর ৩১ রানের মধ্যে আরও ৩ উইকেট নিয়ে খেলা জমিয়ে তোলে পাকিস্তান। রুট ৪২ রান করলেও স্টোকস ৯ এবং পোপ ৭ রান করে ফিরে যান।

ম্যাচের বাকী গল্প বাটলার এবং ওকসের। টেস্ট ম্যাচে নিজেকে প্রমাণের তাগিদ নিয়ে ব্যাটিং করা বাটলার সতীর্থ ওকসকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ১৩৯ রানের জুটি গড়ে দলের জয় এক প্রকার নিশ্চিত করেন।

১০১ বল খেলে ৭৫ রান করে বাটলার যখন ইয়াসির শাহর বলে আউট হন তখন জয়ের জন্য ২১ রান প্রয়োজন। ২৭৩ রানের মাথায় ওকস সতীর্থ স্টুয়ার্ড ব্রডকে হারালেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ১২০ বল খেলে ১০ চারের সাহায্যে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ইয়াসির শাহ ৪ উইকেট নেন।

খুলনা গেজেট/এএমআর




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!