খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

দারিদ্রতার কাছে কি হেরে যাবে জিপিএ-৫ পাওয়া রুখসানা !

অভয়নগর প্রতিনিধি

রুকসানা খাতুন। জন্মের পর থেকেই জীবনের সঙ্গে প্রতিটি মুহূর্ত লড়াই করে চলেছে। তবুও লেখাপড়ার হাল ছাড়েনি। পিছু হটেনি লড়াই থেকে। বড় হওয়ার স্বপ্নকে ঘিরেই সংগ্রাম করে যাচ্ছে। নিজের চেষ্টায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) পেয়েছে।

তার ফলাফলে খুশি হয়েছে পরিবারসহ স্কুলের শিক্ষক ও প্রতিবেশীরা। তবে অর্থাভাবে সেই আনন্দ এখন বিষাদে পরিণত হচ্ছে তার। সামনের পুরোটা পথ তার অনিশ্চিত। দারিদ্র্যতার কারণে আগামী দিনের উচ্চশিক্ষার খরচের চিন্তায় বাবা-মা ও তার চোখমুখে হতাশার ছাপ।

অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ভাঙ্গাগেট গ্রামে মো. আনিছ শেখের মেয়ে রুকসানা খাতুন। তার বাবা একজন ফেরিওয়ালা। বিভিন্ন বাজার ও অনুষ্ঠানে শোনপাপড়ি বিক্রি করে যে আয় হয় তা দিয়ে তাদের সংসার কোন রকম চলে। মা রেশমা বেগম গৃহিণী। এক বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে রুকসানা বড়। অভাবের কারণে তার পড়ালেখা প্রায় বন্ধের উপক্রম। জমি বলতে বাড়ির ভিটাটুকু ছাড়া আর কিছুই নেই।

রুকসানার বাবা জানান, মেয়ে ভালো ফলাফল করেছে। সে আরও পড়তে চায়। তাই তারা এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খরচ নিয়ে। স্বল্প আয়ে চলে চার সদস্যের পরিবার। তিনি বলেন, ‘শুধু এটুকু বলতে পারি মেয়ের লেখাপড়া করাতে গিয়ে অনেক কষ্ট হচ্ছে। পরীক্ষার ৩ মাস আগে সাইন্সের বিষয়ে প্রাইভেট পড়াতে দিয়েছিলাম কিন্তু সে টাকা আজও পরিশোধ করতে পারিনি। এখন মেয়েকে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি, বই-খাতা, বিজ্ঞানের উপকরণ, প্রাইভেটসহ অন্যান্য খরচ যোগাতে পারবো না। তাই মেয়েকে নওয়াপাড়া মডেল কলেজে মানবিক শাখায় ভর্তির আবেদন জমা দিয়েছি। এখন যদি কেউ বিজ্ঞান শাখায় পড়ানোর খরচ যোগায় তাহলে মেয়েকে বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি করে দেব।’

এসএসসি পরীক্ষার মত স্কুল জীবনের সব পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা রুখসানা ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে গরিব অসহায়দের সেবা করতে চায় সে। কারও কাছে একটু আর্থিক সহযোগিতা পেলে হাসি ফুটাবে রুকসানার মুখে।

রুকসানা বলে, ‘প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পড়ালেখা করেছি। আবার কখনও কখনও বাবার কাজে সহযোগিতা করেছি।’

পূর্বাচল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধনঞ্জয় কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের স্কুলে রুকসানাকে সম্পূর্ণ ফ্রি পড়িয়েছি। শুধুমাত্র বোর্ড ফি নিয়ে তাকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছি। বর্তমান অর্থের অভাবে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করা তার জন্য বড়ই কষ্টের হয়ে দাড়িয়েছে।’

সমাজের শিক্ষানুরাগী কোনো সুহৃদয় ব্যক্তির একটু সহযোগিতা পেলে তার উচ্চশিক্ষার পথ নিশ্চিত হতে পারে। তার পরিবারের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নং ০১৯১৩৫১৪৫১৬।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!