খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড
  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে
এক সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ২-৪ টাকা

দামের লাগাম টানতে পারছে না নতুন চাল!

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারে নতুন চালের আমদানিও মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে পারছে না। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মান ভেদে চালের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে দুই থেকে চার টাকা। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ দ্রব্যের দফায় দফায় মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায়।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) খুলনা নগরীর খুচরা দোকানীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে দুই থেকে চার টাকা। আগে ভালো মানের সরু চাল (মিনিকেট) ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা শনিবারের দর ছিল ৬০ টাকা, একই ভাবে ৫০ টাকার মাঝারি মানের ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। আগামীতে এ দুই ধরনের চালের দাম আরও বাড়তে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।

একইভাবে স্বর্ণা চাল যা এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪১ টাকায়, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৪৩ টাকা। ৪৬ টাকার ইরি ২৮ আতপ বর্তমানে ৪৮ টাকা, ৫৫ টাকার সিদ্ধ কাটারী ৫৮ টাকা, ৪০ টাকার গাজী আতপ ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

নগরীর দোলখোলা মোড়ের খুচরা চাল বিক্রেতা মোঃ কামরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পুরোনো ধানের মৌসুম প্রায় শেষ। ধানের দর বৃদ্ধিতে চালের দাম বেড়ে গেছে। তাছাড়া কিছু ব্যবসায়ী আছেন যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করতে চায়। পাইকারী বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে তিনিও বাড়তি দরে চাল বিক্রি করছেন। আবার অনেকে দাম বৃদ্ধির খবর পেয়ে পুরোনো চাল বাড়তি দরে বিক্রি করছেন।

অপরদিকে, মিস্ত্রীপাড়া মসজিদ মোড়ের চাল বিক্রেতা নারায়ন বাবু জানান, কিছু চাল কল মালিক বছরের শেষ দিকে কোন কারণ ছাড়াই ও সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিনিয়ত চালের দাম বৃদ্ধি করছে। যা মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানির পরামর্শ দেন।

বাজার চাল ক্রেতা আনোয়ারুল জানান, পেশায় তিনি একজন রাজমিস্ত্রীর সহকারী। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যেভাবে দিন দিন বেড়েই চলেছে সেভাবে তার আয় বাড়েনি। যা আয় করেন তার অর্ধেক তার পরিবারের জন্য পঠিয়ে দিতে হয়, আর যা থাকে তা দিয়ে তাকে চলতে হয়। ফলে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। আর এ সমস্যা শুধু আনোয়ারুলের নয়, অধিকাংশ সীমিত আয়ের মানুুষের।

খুলনা গেজেট /এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!