নতুন মৌসুমে পারিশ্রমিক কিছুটা বাড়ানোর দাবি নিয়ে কাজী সালাউদ্দিনের কাছে গিয়েছিলেন ফুটবলাররা। তা পূরণের নিশ্চয়তাও দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি। পাশাপাশি নিজের চাওয়াটাও জানিয়ে দিয়েছেন খেলোয়াড়দের-ট্রফি চাই।
গত ৩ অক্টোবরের নির্বাচনের আগে খেলোয়াড়দের ২০২০-২১ মৌসুমের পারিশ্রমিক নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছিল বাফুফে। সেখানে উপেক্ষিত হয়েছিল খেলোয়াড়দের ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিকের দাবি। মেনে নেওয়া হয়েছিল ক্লাবগুলোর ২৫ শতাংশ দেওয়ার প্রস্তাব।
নির্বাচনের পর ফুটবলাররা মঙ্গলবার আবারও সভাপতির কাছে যান। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ২০২০-২১ মৌসুমে আগের চুক্তির পারিশ্রমিকের ৫০ শতাংশ পুনরায় দাবি করেন খেলোয়াড়রা। সালাউদ্দিন ৪০ শতাংশ করে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন বলে জানালেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা।
“আমাদের খেলোয়াড়দের দাবি ছিল, নতুন মৌসুমের পারিশ্রমিক যেন সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ হয়। কিন্তু লিগ কমিটি থেকে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় যে ২৫ শতাংশ দেওয়া হবে। এ সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা খেলোয়াড়রা খুবই হতাশ ছিলাম। এ কারণে আজ সভাপতির সঙ্গে আবারও বসলাম।”
“এর আগে সভাপতির সঙ্গে কথা হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন, ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা বলে ৪০ শতাংশ করে দিবেন। আজকে সভাপতি ৪০ শতাংশ করে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। ২০১৯-২০ মৌসুমের যে চুক্তিটা ছিল, সে অনুযায়ী ৪০% করে দিবেন। সালাউদ্দিন ভাই যেহেতু সভাপতি, আমরা খেলোয়াড়রা তার সম্মানার্থে এই সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছি এবং এতে আমরা খুশি।”
পারিশ্রমিক ইস্যুতে জড়িত আরেক পক্ষ ক্লাব। তাদের কোনো প্রতিনিধি ছিল না মঙ্গলবারের আলোচনায়। তবে খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে রানা জানালেন, বাফুফের মধ্যস্ততায় আস্থা রাখার কথা। গত মৌসুমের সম্ভাবনাময় ও মেধাবী তরুণ খেলোয়াড়দের ওই শর্তের বাইরে রাখার প্রস্তাবনাও দিয়েছেন বলে জানালেন তিনি।
“এখানে বাফুফে মধ্যস্ততাকারী হিসেবে একটা সমাধান দিবে। আমরা খেলোয়াড়রা আমাদের কথাগুলো বলেছি। বাফুফে তাদের মতো করে ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা বলবে। আমাদের কথা হচ্ছে, আমাদের যে প্রত্যাশা, সেগুলো বাফুফে মধ্যস্ততা করে দিলেই আমরা খুশি।”
“নতুনদের মধ্যে সম্ভাবনাময় যারা, পরের মৌসুমে তাদের চাহিদা থাকবে বেশি। এ কারণে আমাদের প্রস্তাবনা ছিল, সম্ভাবনাময়দের যেন ওই পারসেন্টেজের আওতায় না রাখা হয়।”
গত এক যুগে জাতীয় দলের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য সাফল্য নেই। সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের গত চার আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার হতাশা সঙ্গী। দাবি পূরণের নিশ্চয়তা দিয়ে সালাউদ্দিন ট্রফি চেয়েছেন বলেও জানালেন জাতীয় দলের গোলরক্ষক রানা।
“আমরা খেলোয়াড়রা যখন তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালাম, তখন তিনি বললেন, তোমরা আমাকে ফুল না, যদি একটা ট্রফি দাও আমি এর থেকে বেশি খুশি হব।”
“উনার সামনের যে সময় আছে, উনি কাজগুলো অনেক এগিয়ে নিতে চাইছেন। অনেক শক্তভাবে পরিচালনা করতে চাইছেন। উনি আরও অনেক কথা বলেছেন, ফুটবলের উন্নয়নে আরও যত কঠোর হতে হয়, উনি সবধরণের কাজই করবেন। বলেছেন, শুধু তোমরা আমাদেরকে একটা ট্রফি এনে দাও।”
খুলনা গেজেট/এএমআর