খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ মাঘ, ১৪৩১ | ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  ২৩ দিনে ডেঙ্গুতে ৯ মৃত্যু, আক্রান্ত হাজার ছুঁইছুঁই

দশম গ্রেড বাস্তবায়নের আন্দোলনের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

বাগেরহাট ও চিতলমারী প্রতিনিধি

ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের আন্দোলনের কথা বলে বাগেরহাটের চিতলমারীর সহকারি শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) বিকালে সাধারণ শিক্ষকদের মাঝে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন আকতার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চিতলমারী উপজেলায় মোট ১১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয় গুলোতে ৬৯ জন প্রধান শিক্ষক, ৪৫২জন সহকারি শিক্ষক ৪১জন দপ্তরি কাম নৈশ্য প্রহরী কর্মরত রয়েছেন। ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে বিভিন্ন সময় চিতলমারী উপজেলার সহকারি শিক্ষকরা দশম গ্রেড বাস্তায়বনের লক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এবার তাঁরা দশ গ্রেড বাস্তবায়নে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কর্মসূচি পালন করবেন। এ জন্য বেশ কয়েকজন শিক্ষক চিতলমারী সহকারি শিক্ষকদের কাঁছ থেকে ব্যাপক চাঁদা আদায় করেছেন। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের মাঝে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।

সহকারি শিক্ষক মোঃ সাফায়েত হোসেন, বিজন মন্ডল, অনুপ মন্ডল ও অনাবিল ঢালী জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের লক্ষে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আন্দোলনের কথা বলে ১০-১২জন শিক্ষক নেতা গত এক সপ্তাহ ধরে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে চাঁদা আদায় করেছেন। তাঁরা ৪৫০জন সহকারি শিক্ষকের কাছ থেকে জন প্রতি ১৫০ টাকা হারে ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করেছেন। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েছে। কারন প্রায়শই ওই প্রভাবশালী শিক্ষকরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারন দেখিয়ে সহকারি শিক্ষকদের জিম্মি করে চাঁদা তোলেন।

এ ব্যাপার বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমিতি চিতলমারী উপজেলার শাখার সভাপতি কাজী কামরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খোকন মন্ডল বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক ও নেত্রীবৃন্দের আহবানে আগামীকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) সারা দেশের শিক্ষকরা ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশ ও কর্মসূচি পালন করবেন। ওই কর্মসূচিতে আমরা চিতলমারী থেকে ২০-২৫জনের একটি টিম ঢাকায় ওই আন্দোলনে পাঠাবো। যার জন্য সাধারণ শিক্ষকদের টাকা তোলা হয়েছে।’

চিতলমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস জানান, স্কুল বন্ধের দিনে শিক্ষকরা যেতেই পারে। চাঁদা দেওয়ার ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন আকতার বলেন, ‘সরকারি চাকুরী করে আন্দোলনে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। আবারও বলছি। চাঁদা তোলার ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।’

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!