দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে পেশাজীবীদের ব্যানারে সমাবেশ করায় ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএনপি। বুধবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শওকত মাহমুদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
শওকত মাহমুদকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ভাইস চেয়ারম্যান পদে থেকেও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে বিভিন্ন ধরনের সভা-সমাবেশ আয়োজন এবং সেগুলোতে তিনি অংশগ্রহণ করছেন—যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এ কারণে তার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানিয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে শওকত মাহমুদ বলেন, ব্যাখ্যা তলব করে আমাকে একটি চিঠি দিয়েছে বিএনপি। এ জন্য পাঁচদিন সময় বেঁধে দিয়েছে। আমি যেহেতু দল করি, তাই এই বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই চিঠির লিখিত জবাব দেব।
গত ২৭ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির’ দাবিতে ‘পেশাজীবী সমাজের’ ব্যানারে সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশে শওকত মাহমুদসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করে। এই সমাবেশে লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীরও ছিলেন।
এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছিলো বিএনপি।
তখন শওকত মাহমুদকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এবং হাফিজউদ্দিন আহমেদকে পাঁচ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়। দুজনই ওই নোটিশের জবাব দিয়েছিলেন।