ত্রিপুরায় দলীয় নেতাদের উপর বিজেপির হামলার বিরুদ্ধে সোমবার দিল্লিতে গান্ধী মূর্তির সামনে দিনভর ধর্ণা ও বিক্ষোভ অবস্থান করলেন তৃণমূল সাংসদরা। এদিন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক-ও-ব্রায়েন ও লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ অবস্থান চলে।
তারা এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে আলোচনা করতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে। আর যদি বিষয়টি বিজেপি সরকার এড়িয়ে চলে, তাহলে তৃণমূল চলতি অধিবেশন বয়কট করবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার দলীয় কাজে যোগ দিতে গেলে ত্রিপুরার খোয়াইয়ে তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ ও জয়া দত্ত নজিরবিহীনভাবে হামলার শিকার হন। রবিবার তৃণমূল সাংসদ ও দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি গেলে তিনিও অপমানের শিকার হন। আর এই ঘটনা নিয়ে দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদরা ধর্ণা ও অবস্থান বিক্ষোভ করছেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জন্য অভিষেকের জীবন ‘বিপন্ন’ হতে বসেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, অমিতের নির্দেশেই সারাক্ষণ অভিষেকের সঙ্গে ছায়ার মতো লেগে রয়েছে বিজেপি-র গুন্ডারা। চার পাশ থেকে গুন্ডারা ঘিরে ধরায় অভিষেকের জীবন ‘বিপন্ন’ বলেও দাবি করেন মমতা।
ত্রিপুরা থেকে ফেরা আহত নেতানেত্রীরদের দেখতে সোমবার এসএসকেএম যান মমতা। উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে বিজেপি এবং সরাসরি অমিতকে গোটা ঘটনার জন্য দায়ী করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই গোটা ঘটনা ঘটেছে। নইলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর অত সাহস হতে পারে না।’’
সম্প্রতি ত্রিপুরায় দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন অভিষেক। লাঠি, বাঁশ নিয়ে বিজেপি কর্মীরা তাঁর গাড়িতে হামলা করেন বলে অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা সোমবার বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় অভিষেক যাওয়ার পর যে ভাবে ওর গাড়িতে মারা হয়েছে, তাতে ওর মাথায় আঘাত লাগতে পারত। পরে প্রশাসনের তরফে বুলেটপ্রুফ গাড়ি দেওয়া হয়েছিল। এমনি গাড়ির কাচ হলে চুরমার হয়ে যেত। সঙ্গে চুরমার হয়ে যেতে পারত ওর মাথাও। আর সবটাই পুলিশের সামনে হয়েছে। নানা রকম পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অভিষেক বিমানে কোথাও গেলে, ওর পাশের পাঁচটা আসন বুক করে গুন্ডা তুলে দেওয়া হচ্ছে। অভিষেকের জীবন বিপন্ন।’’
খুলনা গেজেট/এনএম