খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৩৭
  হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল

ত্রিপল মার্ডারে জাফরিন ৮ দিন ও আরমান-জাহাঙ্গীর ৭ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর ইস্টার্ণগেটে ত্রিপল হত্যা মামলার অন্যতম আসামী শেখ জাফরিন হাসানকে ৮ দিনের এবং আরমান ও জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদে ৭ দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

রবিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ তরিকুল ইসলাম শুনানী শেষে এ আদেশ দেন। শনিবার রাতে নিহত সাইফুল ইসলামের পিতা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার মূল আসামী শেখ জাকারিয়া ও তার ভাই মিল্টন, কবিরসহ অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোঃ লুৎফুল হায়দার। সন্ধান চলছে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের।

তদন্ত কর্মকর্তা এস আই লুৎফুল হায়দার বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানী শেষে আসামী শেখ জাফরিন হাসানকে ৮ দিনের এবং আরমান ও জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদে ৭ দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এ পর্যন্ত মামলাটিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও জানান, গুলিবর্ষণে ঘটনায় ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র এখন উদ্ধার করা যায়নি। তবে অনুসন্ধান চলছে।

এদিকে, শনিবার বিকেল ৫টার দিকে যশোর বাঘারপাড়া উপজেলার দাতপুর গ্রাম থেকে শেখ জাফরিন হাসানকে আটক করেছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরআগে, গত শুক্রবার যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া থেকে আটক হয় জাফরিন শেখের সহযোগী জাহাঙ্গীরকে। পরবর্তীতে জাকারিয়ার শ্যালক আরমানকে আটক করেছিল পুলিশ।

খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও পলাতকদের গ্রেফতারে এখনো অভিযান চলমান।


উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মুজিবর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে শেখ মোঃ জাকারিয়া, তার ভাই জাফরীন হাসান ও মিল্টন পুলিশে সোর্পদ করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এঘটনার পর গ্রামবাসী জাকারিয়ার বাড়িতে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করতে যায়। এসময় জাকারিয়ার সাথে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শেখ মোঃ জাকারিয়া, জাফরীন হাসান, কবির ও মিল্টন তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ।

গুলিতে ঘটনাস্থলে নজরুল ইসলাম ও গোলাম রসুল নিহত হন। পরে সাইফুল ইসলামও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। জখম অবস্থায় শামীম, রবি, সুজন, রানা ও খলিলসহ ৮জন খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এইদিন রাত ২টার দিকে ক্ষুব্ধ অপরপক্ষের গণপিটুনিতে জাকারিয়ার সহযোগী জাহিদ শেখ নিহত হন।

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!