প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হতে না হতেই রঙ বেরঙ্গের অতিথি পাখির করতালে তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন বিল, খাল ও জলাশায়গুলোতে নানা প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণির স্বার্থন্বেসী মহল পাখির এমন অবাধ বিচরণের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শীত মৌসুম আসতে না আসতেই তেরখাদা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিভিন্ন বিল, খাল ও জলাশয়ে অতিথি পাখিদের আগমন ঘটছে। আর পাখি শিকারিরা নির্বিচারে অতিথি পাখি নিধনের মহোৎসব শুরু করেছে। উপজেলা সদরের কাটেংগা বাজার, জয়সেনা বাজার, তেরখাদা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে কৌশলে এসব পাখি বিক্রি করছে। স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকরী কোন উদ্যোগ না থাকায় পাখি শিকারের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে প্রতি বছরের মত এবারও সুদুর সাইবেরিয়া থেকে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বিল ও জলাশয়ে প্রচুর অতিথি পাখি সমাগম ঘটে। ফলে পেশাদার শিকারীরা বিভিন্ন কায়দায় দেশি বিদেশী এসব অতিথি পাখি নিধনে তৎপর হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধ ভুতিয়ার বিল এলাকার নাচুনিয়া, ইন্দুহাটি, পাখিমারা, নৌকাডুবি, আড়কান্দি, আউরোবুন্নি, বাসু খালী বিল এলাকার ইখড়ি, কাটেংগা, বারাসাত, কোলা, নলামারা, হাড়িখালীসহ বিভিন্ন ছোট বড় বিলগুলোতে শিকারীরা জালের ফাঁদ, বিষটোপ, কেউ ভ্যাপের সাথে কীটনাশক মিশিয়ে, বড়শিসহ অনেক কায়দায় নির্বিচারে পাখি নিধন করছে।
উপজেলার এ সকল বিল এলাকাগুলোতে আগত দেশি বিদেশি পাখির মধ্যে কালকুচ, হাঁসপাখি, হাঁস ডিঙ্গি, ডুঙ্কর, কাদাখোঁচা, চেগা, কাচিচোরা, মদনটাক, শামুখখোলা, পানকৌড়ি, বগ ইত্যাদি পাখির সমারহ রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার এসব বিলগুলোতে বিভিন্ন কায়দায় পাখি শিকার হচ্ছে বলে জানা যায়।
উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার হক বলেন, ‘পাখি নিধন দন্ডনীয় অপরাধ, যারা এসব পাখি নিধন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।’
খুলনা গেজেট/এনএম