খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

তেরখাদায় সরকারি ভবনে বসবাসের অযোগ্য

রাসেল আহমেদ, তেরখাদা

তেরখাদা উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব আবাসিক ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ, পরিত্যক্ত সহ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভবনগুলো দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধ্য হয়েই ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন। আবার বেশ কিছু ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। এসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক কর্মকর্তা পরিবার পরিজন নিয়ে বাইরে বাসা ভাড়া থাকেন ।আবার অনেকের পরিবার গ্রামের বাড়িতে রেখে ম্যাচেও থাকেন।

উপজেলা পরিষদের দেওয়া তথ্যমতে, ১৯৮৫-১৯৮৬ সালে নির্মিত আবাসিক ভবনগুল দীর্ঘ এক যুগ আগে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হলেও সেখানে জীবনের ঝুকি নিয়ে অনেক কর্মচারী বসবাস করছেন। সেখানে সরকারি অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ টি দপ্তর রয়েছে। এসব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে উপজেলার আশপাশের ভাড়া বাড়িতে থাকেন। আবার কেউ কেউ থাকেন জেলা শহর খুলনায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। এসব ঝুকিপূর্ণ ভবনের দেওয়াল ফাঁটল দেখা দিয়েছে, কোথাও কোথাও পলেস্তারা খসে পড়ছে, জরাজির্ণ ভবনগুলোর পাশে ময়লা আবর্জনার স্তুপ জমেছে।

এদিকে কোন কোন ভবনগুলোর দেওয়ালে অল্প বৃষ্টি হলে ছাদ চুয়ে ভেতরে পানি পড়ে। কোয়ার্টারগুলোর ছাদের ঢালাই ভেঙ্গে লোহার রড বের হয়ে গেছে। এ মনকি দরজা ও জালানা ভেঙ্গে গেছে। এমনকি মৃদু ভুমিকম্পেও ভবনগুলো কেপে ওঠে। নির্মাণের পর ভবনগুলো কয়েক দফা সংস্কার করা হয়েছে।

ভবনে বসবাসকারী উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের নৈশ প্রহরী আবুল কাসেম বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছি। বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পানি পড়ে, দেওয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাঁটলও ধরেছে, ভেতরের অবস্থা এতই নাজুক, যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী প্রজিত সরকার বলেন, উপজেলার কর্মকর্তা কর্মচারীদের বসবাসের কোয়ার্টারগুলো সবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং পরিত্যাক্ত। কাজের গতি আনতে কোয়ার্টারগুলো সংস্কার করে বসবাসের উপযোগি করা দরকার। অফিস ছুটির পর কর্মকর্তাদের কেউ কেউ তড়িঘড়ি করে খুলনা কিংবা অন্য এলাকায় চলে যায়।

নিয়মিত খুলনা থেকে আসা যাওয়া করা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, বাসা থেকে সকালে সকালে বের হতে হয়, অনেক সময় যানবাহন সময়মত না পেলে বিলম্ব হয়, উপজেলা সদরে থাকতে পারলে আমার জন্য ভাল হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফা বেগম বলেন, ভবনগুলো পর্যায়ক্রমে নতুন করে নির্মাণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!