তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। যা স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।বিশেষ করে উপজেলার গ্রামাঞ্চলে প্রায়ই চুরি সংঘটিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। ফলে গরু পালনে আগ্রহ হারাচ্ছেন খামারিরা ও প্রান্তিক কৃষকেরা।
জানা যায়,গত শনিবার গভীর রাতে ছাগলাদহ ইউনিয়নের বসুন্দারীতলা গ্রামের মো. নজরুল মোল্লার ৪ টি গরু চুরি হয়।যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা। এ ছাড়াও বিভিন্ন গ্রামে গরুর চুরির ঘটনা ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চোরেরা পিকআপ ভ্যান ও মিনিট্রাকে করে গরু চুরি করে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে চোরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী রাত জেগে পাহারারও ব্যবস্থা করেছেন।
এলাকার কৃষকরা জানান, গরু চুরির কারণে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিশেষ করে যারা স্বল্প পুঁজিতে গরু পালন করতেন তারা বর্তমানে গরু কেনার ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তবে কৃষির ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ফলে গরুর দুধ ও মাংস উৎপাদন কমে যাবে। সরকারি উদ্যোগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। সঠিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা না হলে গরু পালনে আগ্রহী কৃষকদের সংখ্যা আরও কমে যাবে। যা দেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্থানীয় কৃষকরা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছেন। যাতে তারা নিরাপদে গরু পালন করতে পারেন এবং গরু চুরি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ ব্যাপারে তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জি এম ইমদাদুল হক বলেন, থানা পুলিশের দিবারাত টহল দৃশ্যমান। এলাকায় অবস্থিত ৪টি পুলিশ ক্যাম্পে দিবাকালীন পুলিশের তৎপরতা দেখা গেলেও জনবল সংকটসহ যানবাহন ব্যবস্থা না থাকায় ক্যাম্প এলাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। এজন্য পুলিশকে একটু সময় দেওয়া দরকার। অচিরেই পুলিশ মাঠে সক্রিয় হলে চুরিসহ সব ধরনের অপরাধ কমে যাবে।
খুলনা গেজেট/এএজে