বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতালের দিন গত মঙ্গলবার ভোরের দিকে রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন ৪ জনকে শনাক্তের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের ভাষ্যমতে, জড়িত চারজনের মধ্যে দুজন সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী, অপর দুজন ভাসমান ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য দেন।
আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা চার সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছি। তাঁদের ছবি পেয়েছি। আমরা এখন ঘটনার সময় তাঁদের গতিবিধি বিশ্লেষণ করে দেখছি। আমরা সমস্ত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ এবং তাঁদের আটকের পর বিস্তারিত জানাতে পারব।
ওই দিন ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটের দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশনে যাওয়ার পথে আগুনের ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তেজগাঁও স্টেশনের কাছে আগুন নেভানোর পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ট্রেনের তিনটি পোড়া বগির একটি থেকে তিন বছরের এক শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
র্যাব জানায়, ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে নাশকতাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জনগণের জানমাল রক্ষায় বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করেছে র্যাব-৩। গত ২৮ অক্টোবরের পর ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ, গাড়িতে বোমা হামলা ও বিভিন্ন এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইতোমধ্যে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, টাঙ্গাইলে কমিউটার ট্রেনে, মৌলভীবাজারে পারাবত ট্রেনে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে দেশের জনসাধারনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে নাশকতা করার অপচেষ্টা চলছে।
এরই মধ্যে র্যাবের বিভিন্ন গোয়েন্দার মাধ্যমে ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে নাশকতাকারীদের ওপর কঠিন নজরদারী রাখা হচ্ছ। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্হা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় একাধিক পেট্রোলের সমন্বয়ে রোবাস্ট পেট্রোল পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিশেষ নিরাপত্তা পেট্রোল প্রস্তু রাখা হয়েছে। সাবির্ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে বলে জানান র্যাবের এই পরিচালক।
খুলনা গেজেট/কেডি