খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

তুরস্ক চুপ থাকবে না : ইসরায়েলকে এরদোয়ানের হুঙ্কার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনায় তিনি দুঃখ ভারাক্রান্ত এবং ক্ষুব্ধ। একই সঙ্গে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের চলমান সংঘাতের অবসানে শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলের নির্মমতায় আমরা দুঃখ ভারাক্রান্ত এবং ক্ষুব্ধ। এরদোয়ান বলেন, জেরুজালেম-সহ ফিলিস্তিনি শহরগুলোতে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোটা সবার মানবিক দায়িত্ব।

তিনি বলেন, ‌‘যারা এখনও নীরব আছেন অথবা প্রকাশ্যে ইসরায়েলের রক্তপাতকে সমর্থন করছেন; তাদের জেনে রাখা উচিত; একদিন একই ধরনের পরিণতি তাদেরও ভোগ করতে হবে। জেরুজালেমে শান্তি নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়াটাও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নৈতিক দায়িত্ব।’

পুরো বিশ্ব উপেক্ষা করলেও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নিপীড়নের ঘটনায় তুরস্ক নীরব থাকবে না।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের অবসানে ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করেছেন তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় গত ৯ মে থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সহিংসতায় প্রাণ গেছে ১১৯ ফিলিস্তিনির। নিহতদের মধ্যে ৩১ শিশু এবং ১৯ নারী রয়েছেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনা নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ সময় তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহিংস আচরণের জন্য ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি শক্ত এবং প্রতিরোধমূলক শিক্ষা দেওয়া উচিত।

গাজার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল হামাস জবাবে ইসরায়েলে বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার রকেট বর্ষণ করেছে। এতে এক সৈন্যসহ ছয় ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।

এদিকে, শুক্রবারও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাজা গোলাবারুদ ও বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেইভ দ্য চিলড্রেন বলছে, শুক্রবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় অন্তত ৩১টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এবং একটি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত ২৪ হাজার শিশুও পড়াশোনা করতো। সূত্র: আলজাজিরা, আনাদোলু।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!