তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত ভারতের উত্তরাঞ্চল। তিন দিনের ব্যবধানে গরমে দেশটির উত্তর প্রদেশের বাল্লিয়া জেলাতে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪০০ এর মতো বাসিন্দা। এই মৃত্যুর জন্য সরাসরি গরম অভিযুক্ত না করা হলেও চিকিৎসকরা এটিকে একটি অন্যতম কারণ হিসেবে বলছেন। আজ রোববার (১৮ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রদেশটির বেশিরভাগ এলাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে।
উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনৌ থেকে ৩০০ কিলোমিটার (২০০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বের বাল্লিয়া জেলায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। হঠাৎ করে মৃত্যু ও রোগীর সংখ্যা বাড়ায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে হাসপাতালের কর্মীরা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বেশিরভাগ রোগী জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য রোগে ভুগছেন।
গত ১৫ জুন ২৩ জন, পরের দিন ১৬ জুন ২০ জন ও গতকাল শনিবার ১১ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছেন বাল্লিয়া জেলা হাসপাতালের ইনচার্জ এস কে যাদব। আজমগড় সার্কেলের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বি পি তিওয়ারি বলেন, ‘মৃতদের কোনো রোগ শনাক্ত করা না গেলে লখনৌ থেকে টিম পাঠানো হবে। খুব গরম বা ঠাণ্ডায় শ্বাসকষ্টের রোগী, ডায়াবেটিস রোগী ও রক্তচাপের রোগীদের ঝুঁকি বেড়ে যায়।’ এই চিকিৎসকের অনুমান, এসব কারণেই মৃত্যু হচ্ছে।
প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাল্লিয়া জেলা হাসপাতালে রোগীদের উপচে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অনেক রোগীই স্ট্রেচার পাচ্ছে না। রোগীদের সঙ্গে আসা অনেকেই তাদেরকে কাঁধে করে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাচ্ছেন। স্টেচার না পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য পরিচালক দাবি করেছেন, একই সময়ে ১০ রোগী এলে অসুবিধা হবেই। তবে, আমাদের যথেষ্ট স্ট্রেচার আছে।
উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেন, ‘সরকার বাল্লিয়ার ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। দুজন জ্যৈষ্ঠ চিকিৎসককে সেখানে পাঠানো হয়েছে। তারা সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে খুব দ্রুত প্রতিবেদন দেবেন।
খুলনা গেজেট/এনএম