খুলনা বিভাগের বেশিরভাগ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। খুলনায় আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী ছাড়িয়ছে। টানা তিন দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।
এসব তথ্য জানিয়ে আজ সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ে শিশু ও বয়স্কদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের ‘হিট অ্যালার্ট’ এর মধ্যে রোববার দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুলছে।
আমাদের স্কুলগুলোর শ্রেণিকক্ষের বিষয়ে আমার ভালো ধারণা রয়েছে। বিশাল কক্ষে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনটি ফ্যানের নিচে ক্লাস করতে হয় ৫০/৬০ জন শিশুকে। অনেক শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত বাতাসের ব্যবস্থা নেই।
স্কুল ছুটির সময় বাড়িতে বসেই তীব্র গরমে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। খুলনা শিশু হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা নেই।
অতীত অভিজ্ঞতা বলছে. কোনো দুর্ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত আমাদের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের হুশ ফেরে না। স্কুলে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ার আগেই স্কুল চালুর বিষয়ে বিকল্প চিন্তা করা প্রয়োজন।
অনেক দিন বন্ধের পর অনেক অভিভাবক স্কুল বন্ধের পক্ষে নন। আবার অনেকে শিশুদের নিয়ে ঝুঁকি নিতে চান না।
তাপপ্রবাহের মধ্যে স্কুল নিয়ে কয়েকটি প্রস্তাবনা দিচ্ছি :
১. যে ক’দিন তীব্র তাপপ্রবাহ থাকবে (তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রী) এ সময় স্কুল বন্ধ রাখা। বিশেষ করে ছোটদের ক্লাস বন্ধ রাখা।
২. স্কুলের সময় এগিয়ে সকালে নিয়ে আসা। ৭টা থেকে শুরু করে সকাল ১০/১১ টার মধ্যে শেষ করা।
৩. স্কুল মাঠে সব কর্মসূচি আসেমব্লি, ডিসপ্লে আপাতত বন্ধ রাখা।
৪. শ্রেণিকক্ষে বৈদ্যুতিক পাখা সচল রাখা, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস এবং বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা।
শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবিষয়ে আরও ভালো বলতে পারবেন। ঘটনা ঘটার আগে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন, এটাই প্রত্যাশা।
(ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া)
খুলনা গেজেট/এমএম