তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দক্ষিণের উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা। গরমে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তিঃ মিলছে না। তীব্র গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। জেলা আবহাওয়া অফিস থেকে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লবনাক্ততার কারণে এই জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে গরমের তীব্রতা বেশী অনুভুত হয়। অসহ্য এই গরমে বেশী বেকায়দার পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ গুলো। তারা এই গরমে কাজের জন্য বাইরে বের হতে পারছেন না। অসহনীয় কষ্ট বেড়েছে শ্রমজীবি এসব মানুষের মাঝে। দিন যতই যাচ্ছে গরমের তীব্রতা ততই বাড়ছে। তীব্র এই গরমে দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে শহরের রাস্তাঘাট। গরমের তীব্রতায় নাকাল হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ।
মানুষ গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে আশ্রয় নিচ্ছেন ছায়া শীতল গাছতলায়। গরমে কিছুটা হলেও পিপাসা মিটাতে মানুষ ভিঁড় করছেন ডাব, শরবত ও আখের রসের দোকান গুলোতে। ভ্যাপসা এই গরমে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরাও। ক্ষতি হচ্ছে তাদের আমসহ বিভিন্ন ফসলের। অত্যাধিক গরমে গাছ থেকে আম ঝরে পড়ে যাচ্ছে। একই ভাবে ক্ষতি হচ্ছে মৎস্য চাষীদের। গরমে বিভিন্ন মৎস্য ঘেরের মাছ মারা যাচ্ছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, সোমবার বিকাল ৩ টায় সাতক্ষীরার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আদ্রতা শতকরা ২২ ভাগ। অপরদিকে, গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
খুলনা গেজেট/এমএম