সাতক্ষীরার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘরে-বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। প্রচন্ড এই গরমে কাজ করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ গুলো। বৃহস্পতিবার (২৫ এপিল) জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গরমে একদিকে যেমন সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে, তেমনি পুড়ছে সড়কে চালাচলরত পথচারীদের চোখমুখ। তীব্র দাবদাহে বিশেষ কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেনা। বিশেষ প্রয়োজনে যারা বের হচ্ছেন তারা দুপুরের আগেই ঘরে ফিরছেন। দুপুরের আগেই শহর ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। গরম নিবারনে বেশীরভাগ শ্রমজীবি ও খেটে খাওয়া মানুষ গুলো আশ্রয় নিচ্ছেন গাছ তলায়। পিপাসা নিবারনে জন্য শহরের বিভিন্ন ডাব, আখের রস ও শরবেতর দোকান গুলোতে ভিড় লক্ষনীয়। কেউ কেউ আবার গরম থেকে রক্ষা পেতে দীর্ঘক্ষন ধরে পৌরদীঘিসহ শহরতলীর বিভিন্ন পুকুরে গোসল করছেন। অত্যাধিক এই গরমে ক্ষতি হচ্ছে ফসলি জমি ও মৎস্য ঘেরের। তবে, এই তীব্র গরমে পানিশূন্যতা ও হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে প্রচুর পরিমান বিশুদ্ধ পানি পানের পাশাপাশি একটানা কাজ না করে বিশ্রাম নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসরা।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় সাতক্ষীরার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আদ্রতা শতকরা ১৯ ভাগ। আগামী আরো কয়েকদিন এমন তাপামাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এএজে