দলীয় একশ’ রানের আগেই সাজঘরে বাংলাদেশের ৪ ব্যাটসম্যান। উইকেটে থিতু হওয়া তামিম ইকবালও তখন ফিরে গিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে। সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশ দলের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিম। তাদের ১০০ রানের জুটি এবং শেষের দিকে আফিফ হোসেনের ক্যামিওতে বাংলাদেশ পায় ২৫৭ রানের পুঁজি।
এদিন সেঞ্চুরি হাঁকানো সুযোগ থাকলেও তা হাতছাড়া করেছেন মুশফিক। ব্যক্তিগত ৮৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন রিভার্স সুইপে ক্যাচ দিয়ে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪৮তম ওভারে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ৫৪ আর তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে ধনঞ্জয় ডি সিলভা নেন ৩ উইকেট।
চেনা কন্ডিশনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেননি তামিম। তবে বাংলাদেশের এই অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতিদান দিতে পারেননি লিটন দাস। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান ফিরেছেন ০ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং নিউজিল্যান্ড সিরিজের ব্যর্থতা পেছনে ফেলার সুযোগ ছিল লিটনের সামনে। কিন্তু দুশমন্থ চামিরার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ব্যর্থতার বেড়াজালে আরও একবার আটকে যান তিনি। সেই ওভারে ক্রিজে নেমে শেষ বলে ৪ মেরে রানের খাতা খোলেন সাকিব আল হাসান।
নিজের ফেরার ম্যাচে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই টাইগার অলরাউন্ডার। ইনিংসের ১৩তম ওভারে দানুশকা গুনাথিলাকার বলে তুলে মারতে গিয়ে পাথুম নিশানকার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৩৪ বলে ১৫ রানে সাকিব ফিরলে ভাঙে তামিমের সঙ্গে তাঁর ৩৮ রানের জুটি।
সাকিব ফিরলেও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম। লাকশান সান্দাকানের বলে লং অনে ঠেলে দিয়ে এক রান নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। একটি ছক্কা ও ৬ চারে ৬৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। যা কিনা তাঁর ক্যারিয়ারের ৫১তম হাফ সেঞ্চুরি।
যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ৬৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। রিভিউ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি তামিমের। ৫১তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার দিনে ৭০ বলে ৫২ রান করে আউট হয়েছেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
তামিম ফেরার পরের বলে সাজঘরে ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ধনাঞ্জয়ার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তামিমের মতো মিঠুনও রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ফলে ১ বলে কোনো রান না করেই ফিরতে হয় তাঁকে।
এদিকে তামিমের পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান মুশফিক। ধনাঞ্জয়াকে চার মেরে ৫২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। যা কিনা তাঁর ক্যারিয়ারের ৪০তম হাফ সেঞ্চুরি। দারুণ ব্যাটিং করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপে পুড়েছেন।
৮৪ রানে মুশফিক বিদায় নেয়ার পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। তামিমের মতো তিনিও হাফ সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেষ দিকে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ২২ বলে অপরাজিত ২৭ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ৯ বলে ১৩ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৫৭ রানে তোলে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন ধনাঞ্জয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২৫৭/৬ (৫০ ওভার) (তামিম ৫২, সাকিব ১৫, মুশফিক ৫৩, মাহমুদউল্লাহ ৫৪, আফিফ ২৭*, সাইফউদ্দিন ১৩*; ধনঞ্জয়া ৩/৪৫, গুনাথিলাকা ১/৫, সান্দাকান ১/৫৫)