খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মার্কিন শ্রম প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে আজ

তিন দিনেই ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে পেঁয়াজ সিন্ডিকেট!

গেজেট ডেস্ক

তিন দিনেই ভোক্তার পকেট থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মুনাফালোভী পেঁয়াজ সিন্ডিকেট। আমদানি মূল্য বিবেচনায় নিলে এই মুনাফার পরিমাণ আরও কয়েক গুণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে, জুলাই-আগস্টে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ১৪ টাকায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও ব্যবসায়ীদের কারসাজি আর ভোক্তাদের আতঙ্কেই বেড়েছে দাম। দেশে অন্তত সাড়ে ৩ মাসের পেঁয়াজ মজুদ আছে বলে দাবি ট্যারিফ কমিশনের।

সাধারণ ভোক্তার কাছে পেঁয়াজ এখন এক আতঙ্কের নাম। ভোজন বিলাসী বাঙ্গালীকে গেল কয়েক বছর ধরেই ভোগাচ্ছে অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্য।

আগস্টের শেষদিক থেকে বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। গেল সোমবার বিকেলে তাতে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে, ভারতের রফতানির বন্ধের ঘোষণায়। ৪৫ থেকে ৫০ টাকার পেঁয়াজ এক লাফে বেড়ে দাড়ায় ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। পরেরদিন দফায় দফায় বেড়ে বিক্রি হয় ১১০ টাকায়। অথচ সপ্তাহ দুয়েক আগেও দেশের বাজারে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জুলাই এবং আগস্টে প্রতি টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয় ১৭০ ডলারে। অর্থাৎ প্রতিকেজির দাম পড়ে সাড়ে ১৪ টাকা। শেষদিকে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে, কেজি প্রতি ২২ থেকে ২৫ টাকা দরে। সেই পেঁয়াজেরও দাম উঠেছে ১০০ টাকার ঘরে।

ট্যারিফ কমিশন বলছে, দেশে উৎপাদন এবং আমদানি মিলে পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তাই আপাতত সংকটের যৌক্তিক কারণ নেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সংকটের চেয়ে আতঙ্কের কারণেই বেশি দাম বাড়ছে পেঁয়াজের। এ ক্ষেত্রে ভোক্তার সচেতনতা দরকার। অনৈতিক মজুদ বন্ধের পাশাপাশি দাম নিয়ন্ত্রণে খোলা বাজারে বেশি করে পেঁয়াজ বিক্রির পরামর্শ বিশ্লেষকদের। সেক্ষেত্রে ট্রাক সেলের পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়িয়ে সিন্ডিকেটের কারসাজি ভেঙ্গে দেয়া সম্ভব।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!