তিন দিন ধরে জ্বলছে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী এলাকায় সেই চিনিকলের আগুন। আগুনে পুড়ে আগ্নেয়গিরির লাভার মতো বেরিয়ে আসছে চিনির কাঁচামাল। আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখনও কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরেও মিলের ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগুন ও কাঁচামালের কারণে মিলের ভেতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। বাইরের থেকে পানি দিতে হচ্ছে। ওপর থেকে পানি ছিটানো গেলে আগুন দ্রুত নির্বাপণ করা যেত। কিন্তু চিনিকলের উচ্চতা ৫-৬ তলা ভবনের সমান। উচ্চতার কারণে ওপর থেকে পানি দেওয়া যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে জেলা প্রশাসন গঠিত কমিটির সদস্যরা। এসময় তারা কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথেও কথা বলেন।
এদিকে কবে নাগাদ আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করা যাবে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তাদের দাবি অপরিশোধিত চিনি দাহ্য হওয়ায় আগুন নেভাতে সময় লাগছে। পুড়ে যাওয়া চিনি সরাসরি গিয়ে পড়ছে পাশের কর্ণফুলী নদীতে।
ওই মিলের কর্মকর্তারা বলছেন, চিনির মিলের ছয়টি গোডাউনের মধ্যে একটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে আমদানি করা ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি রাখা ছিল।
মিলটির গোডাউনে রাখা অপরিশোধিত চিনিগুলো জ্বললেও এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে থেকে কিছু না জানানো হলেও বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছে মিলের কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলীর ইছাপুর এলাকার একটি মিলে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথমদিকে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি স্টেশনের ১৪টি ইউনিট। পরে তাদের সঙ্গে আগুন নেভাতে যোগ দেয় বাংলাদেশ বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনীর দলও।
খুলনা গেজেট/এএজে