সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শহীদ আলী আহম্মদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরীক্ষার নম্বর জালিয়াতি করে ফলাফল তৈরির অভিযোগ উঠেছে। আর এই জালিয়াতির অভিযোগ করেছে বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
সম্প্রতি বিদ্যালয়টির ৮ম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় সিনিয়র শিক্ষক মমতা হিনা মুক্তি কর্তৃক পরীক্ষার নম্বর জালিয়াতির অভিযোগ করে ৭ আগস্ট রবিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ প্রদান করে ভুক্তভূগি শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
অভিযোগকারী মো. রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, আমার মেয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার নম্বর জালিয়াতির মাধ্যমে আমার মেয়ে কে মেধা তালিকা থেকে নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্ত অন্য একটা মেয়েকে আইসিটি খাতার নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে ৪০ মার্কস দেওয়া হয়েছে। কিন্ত আইসিটি মূল্যায়নকারী শিক্ষক মারফতে জানতে পারলাম ওই মেয়েটা ৩৬ নম্বর পেয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হবে। আমি এর প্রতিকার চাই।
আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক মো. আসলাম আল মেহেদী বলেন, আমি আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক। আমি খাতা মূল্যায়ন করে একজন শিক্ষার্থীকে ৩৬ নম্বর দিয়েছি। কিন্তু ইংরেজি বিভাগের একজন শিক্ষক এসে কিভাবে আমার মূল্যায়নকৃত নম্বর কেটে বাড়িয়ে ৪০ দেয় তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ের মমতা হিনা মুক্তি বলেন, যা কিছু করেছি তা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়েই করেছি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার তরফদার বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দেখবো। তারপর ব্যবস্থা নিবো।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, আমি অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান সেহেতু সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি দেখা হবে।