সুন্দরবন উপকুলীয় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নিভৃত পল্লী কলাগাছি। মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষের কোল ঘেষে বয়ে চলা গাছার বুক চিরে রয়ে গেছে দলুয়া শালিখা প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তা। যার দুই পাশে সেই সম্মরণাতীত থেকে বসবাস করে আসছে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার সনাতন ধর্মালম্বী পরিবার। দূর্গম পল্লীর অবহেলিত গ্রামটির সুদীর্ঘ ইতিহাস আর ঐতিহ্য থাকলেও স্বাধীনতার আগে থেকেই জনপদের মানুষ রয়েছে চরম অবহেলা আর বঞ্চনার মধ্যে।
একাত্তরে ডামাডোলের মধ্যেই সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় কলাগাছি সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। পুজা অর্চানার জন্য আগেই ছিল একটি সার্বজনীন দূর্গা ও কালী মন্দির। বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র দুলয়া শালিখা রাস্তার মাত্র দুই কিঃমিঃ এলাকা যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৮ কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশে প্রায় ৬ কিলোমিটার পিচ ঢালাই হলেও বাদ রয়ে গেছে মাঝের ২ কিঃ মিঃ সড়ক। চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বর্ষার পানি ও প্রাকৃতিক একাধিক দূর্যোগে ভেঙ্গে গেছে পার্শ্ববর্তী কপোতাক্ষের টিআরএমএর একমাত্র বেড়িবাঁধটি। আর এতেই সর্বশান্ত কলাগাছির বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার উপর দিয়ে পানি ঢুকে ইতিমধ্যে তুলিয়ে যায় গোটা এলাকা। পরে ভাঁটার পানি নেমে গেলেও স্কুল মন্দির ও রাস্তার তৈরি হয়েছে কাঁদার স্তর এলাকাবাসী স্বাভাবিক জীবন যাত্রারও পড়েছে বিরুপ প্রভাব।
এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি রাস্তাটি নির্মাণ পূর্বক নিন্ম এলাকার আলাদা আলাদা বরাদ্ধ দিয়ে উঁচুর করা হোক। করোনা পরবর্তী স্কুলসহ উপাসনালয়ে ফিরে পাক আগের মত প্রাণ। এজন্য তারা স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম