দেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এতে রোববার (২ মার্চ) থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। সেই সঙ্গে শনিবার (১ মার্চ) থেকেই তারাবি পড়বেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
আরবি ‘তারাবিহ’ শব্দটি ‘রাহাতুন’ থেকে এসেছে যার অর্থ বিশ্রাম বা আরাম করা। এই নামাজ দীর্ঘ হওয়ায় পরিশ্রম লাঘবে প্রতি দুই রাকাত বা চার রাকাত পরপর কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম নিয়ে দোয়া ও তসবিহ পড়তে হয়। আরবিতে যা ‘সালাতুত তারাবিহ’ নামে পরিচিত।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি লাইলাতুল ক্বদরে ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদাত করে, তার পেছনের সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় তারাবি নামাজসহ রমজানে সিয়াম (রোজা) পালন করবে, তারও অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৭৮০)
তারাবি নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
রমজান মাসে এশার নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত পড়ে তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তারাবি নামাজের নিয়ত-
نويت ان اصلى لله تعالى ركعتى صلوة التراويح سنة رسول الله تعالى متوجها الى جهة الكعبة الشريفة الله اكبر
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসালিয়া ল্লিলাহি তাআ’লা, রাকাআ’তাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতু রাসুল্লিলাহি তাআ’লা। মুতাওয়াযজ্জিহান ইলা যিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।
এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে তারাবির নামাজ যদি জামাতের সঙ্গে আদায় হয় তবে, ‘সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতু রাসুল্লিলাহি তাআ’লা’ এই অংশের পর ‘ইক্বতাদাইতু বি হাজাল ইমাম’ অংশটুকু যুক্ত করে পড়তে হবে।
অন্যদিকে তারাবি নামাজে প্রতি চার রাকাত পরপর বিশ্রাম নেয়া হয়। এ সময় দেশে একটি দোয়া পড়ার প্রচলন রয়েছে। প্রায় সব মসজিদের মুসল্লিরা এই দোয়াটি পড়ে থাকেন।
দোয়াটি হলো
سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ
উচ্চারণ: ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’
এছাড়া তারাবির নামাজ শেষে দেশের মসজিদগুলোয় বিশেষ একটি মোনাজাতের প্রচলন রয়েছে। আরবিতে মোনাজাতটি হলো-
اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ – اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
খুলনা গেজেট/এএজে