পরিচালক দীপঙ্কর দীপন ও মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের দলের মধ্যকার মারামারির ঘটনায় এই ক্রিকেট লিগ স্থগিত করা হয়েছে। মারামারির ঘটনায় সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগ স্থগিত করা হয়েছে এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার রাতে মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আরশাদ আদনান।
আরশাদ আদনান বলেন, ‘ঘটনার পিছনে রাজ কিংবা দীপন—কেউই দায়ী না। ঘটনার তদন্তে জানা গেছে, তারা কিছু সমর্থককে দলের জার্সি দিয়েছিলেন। তাদের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।’
আয়োজকরা বলেছেন, ঘটনাটি এক মিনিটেরও কম সময়ে ঘটেছে। মাঠে থাকা ক্যামেরা ও বিভিন্ন চ্যানেলের ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দোষীদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩-৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে আয়োজকরা। তবে কাদের বিরুদ্ধে এবং কোন থানায় মামলা করা হয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে দল দুটির সদস্যদের মধ্যে মিলিয়ে দেওয়া হয়।
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার জন্য আমি লজ্জিত ও ক্ষমা প্রার্থী। আমার দল থেকে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের পক্ষ থেকেও আমি সরি, লজ্জিত। তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। যেহেতু আমরা একই পরিবারের সদস্য, তাই ইন্টারনালি সমাধান করেছি। এতে আমার দ্বিমত নেই।’
দীপঙ্কর দীপন বলেন, ‘গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, এটা আমাদের সংস্কৃতি সমাজের কোনো রকম প্রতিফলন নয়। আমাদের দুই দলে যে খেলোয়াড় ছিল, আমরা মারামারিতে জড়াইনি। মাত্র চার-পাঁচ জন এসে আমাদের ওপর হামলা করেছে। কিছু মানুষ মারতে এসেছিল, বাকি সবাই ঠেকিয়েছিল। তারা সাপোর্টার জার্সি পরিহিত ছিল। আমাদের একজন প্লেয়ার মনোজ প্রামাণিককে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। একদিনের মধ্যেই এইসবের সঠিক ব্যবস্থা নিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ।’
সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগে (সিসিএল) মোট আটটি দলে ভাগ হয়ে অংশ নিয়েছেন শোবিজের কলাকুশলীরা। প্রতি দলে নারী ও পুরুষ তারকা শিল্পীরা ছিলেন।
এই দলগুলোর নেতৃত্বে ছিলেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিহাব শাহীন, চয়নিকা চৌধুরী, দীপঙ্কর দীপন, সকাল আহমেদ, মোস্তফা কামাল রাজ ও রায়হান রাফী।
খুলনা গেজেট/এইচ