শুরুতেই একটা ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ। কেমার রোচের কাছে মাত্র ৯ রানে বোল্ড হন তামিম ইকবাল। তিনি ফেরার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হাল ধরেন সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দু’জনের জুটিটা পঞ্চাশ পেরোনোর কাছে ছিল। কিন্তু হয়নি সংশয়ের কারণে। ৪৩ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন শান্ত। রান আউট হন ২৫ রান করে। এরপর ওপেনার সাদমানকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে নামেন স্বাগতিক অধিনায়ক মুমিনুল হক। প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগে তারা দুজনে স্কোরবোর্ডে ৩ রান যোগ করতে পেরেছেন। ২ উইকেটে ৬৯ রান করে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
স্কোর: বাংলাদেশ- ২৯ ওভারে ৬৯/২ (সাদমান ৩৩*, মুমিনুল ২*)
দ্বিধান্বিত হয়ে রান আউট শান্ত
তামিম ইকবালের বিদায়ের পর প্রথম সেশন শেষ করার পথে ছিল সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটি। কিন্তু দ্বিধার কারণে ভেঙে গেলো ৪৩ রানের এই জুটি। ২৪তম ওভারে কাইল মেয়ার্সের বলে ফাইন লেগে শট খেলেন সাদমান। প্রথম রানটি ভালোভাবেই নেন দুজন, কিন্তু কেমার রোচ বল ফেরানোর আগে দ্বিতীয় রানটি নিতে দৌড় দেন সাদমান। যখন স্ট্রাইকিং প্রান্তের বেশ কাছে তিনি, তখন দ্বিধান্বিত শান্তও রানের জন্য দৌড় দেন। ততক্ষণে রোচের থ্রো থেকে উইকেটকিপার জশুয়া ডা সিলভা বল পেয়ে মেয়ার্সের দিকে পাঠান এবং তিনি স্টাম্প ভেঙে দেন শান্ত পৌঁছানোর বেশ আগেই। ৫৮ বলে ৩ চারে ২৫ রান করেন শান্ত।
স্কোর: বাংলাদেশ- ২৫ ওভারে ৬৬/২ (সাদমান ৩২*, মুমিনুল ০*)
তামিমকে হারিয়ে সতর্ক বাংলাদেশ
২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর সতর্ক ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তামিম ইকবাল আউট হওয়ার পর সাদমান ইসলামের সঙ্গে ক্রিজে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। চট্টগ্রাম টেস্টে দুজনের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়েছে স্বাগতিকরা।
রোচের বলে বোল্ড তামিম
সাদমান ইসলামের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে বড় সংগ্রহ আনতে ব্যর্থ হলেন তামিম ইকবাল। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে কেমার রোচের কাছে বিদায় নেন তিনি। উইন্ডিজ পেসারের বল তার ব্যাট-প্যাডের মাঝখান দিয়ে গিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। ১৫ বল খেলে ৯ রান করেন তামিম। ২৩ রানে ভেঙেছে উদ্বোধনী জুটি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে আগে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
চার স্পিনার, এক পেসার নিয়ে বাংলাদেশ
সবশেষ চট্টগ্রামের মাটিতে বাংলাদেশ এক পেসার ও চার স্পিনার নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। এবারও একই বোলিং আক্রমণ নিয়ে মাঠে নেমেছে স্বাগতিকরা। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে স্পিন বিভাগে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। একমাত্র পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ একাদশ: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), লিটন দাশ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), জন ক্যাম্পবেল, জার্মেইন ব্ল্যাকউড, শেইন মোসলে, এনক্রুমাহ বোনার, জশুয়া ডা সিলভা (উইকেটকিপার), কাইল মেয়ার্স, রাকিম কর্নওয়াল, জোমেল ওয়ারিকান, কেমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল।
অতীত পারফরম্যান্সে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে হারানোর পর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৬ টেস্টে বাংলাদেশের জয় চারটিতে। তবে সবশেষ সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষবার স্পিনে ফাঁদ পেতে সফরকারীদের হারিয়েছিল। চার স্পিনার দুই টেস্টে নিয়েছিলেন ৪০ উইকেট। তাইতো এবার চার স্পিনার নিয়েই নেমেছে বাংলাদেশ।
৩৪৭ দিন পর টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ
সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেটাও ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। এরপর সাদা পোশাকে একাধিক ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকলেও করোনার কারণে সব ওলটপালট হয়েছিল। ৩৪৭ দিন পর বাংলাদেশ ফিরছে ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণে।
খুলনা গেজেট/এনএম