২৯৯ রানের লক্ষ্য। এতো রান তড়া করে বাংলাদেশ দল কোনদিনও জেতেনি বিষয়টি এমনও নয়। তবে সংখ্যাটা একেবারেই কম, হাতেগোনা ৪ বার। ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৩১৩ রান করে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল টাইগাররা। আজ (মঙ্গলবার) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ জিতে প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাইয়ের স্বাদ দিতে গেলে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে সে পথেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ দল।
চাতারার লেন্থ বল লং অন দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠালেন তামিম। ৯৬ থেকে তার রান পৌঁছে গেল একশতে। ১২ ইনিংস পর তামিম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেলেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার ১৪তম সেঞ্চুরি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যা চতুর্থ। ৮৭ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন তামিম। ওয়ানডেতে এটি তার দ্রুততম সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১০ সালে ৯৪ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি।
এদিন হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ২৯৮ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের সামনে ছুঁড়ে দিয়েছে ২৯৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য। এই টার্গেট টপকাতে নেমে লিটন দাসকে নিয়ে শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন তামিম। বলের মান বিচার করে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে খেলে ৮৭ বলে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। যেখানে ৪টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা হাঁকান তামিম।
এই প্রতিবেদন লেখার ৩২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯৪ রান। যেখানে তামিম ১০৮ রানে অপরাজিতে আছেন। জয়ের জন্য ১০৮ বলে বাংলাদেশ দলের প্রয়োজন ১০৫ রান।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি