কোনো জেলা তাপমাত্রা যদি ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যায়, তবে সেখানকার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা আঞ্চলিক পর্যায়ে আলোচনা করে সেই জায়গার প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ও পাঠদানে সময়ও পরিবর্তন করতে পারেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কারিগরি শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পাঁচ জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পর্যায়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এর ওপর ভিত্তি করে সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া যুক্তিসঙ্গত নয়। শুধুমাত্র ঢাকা শহরের তাপমাত্রা বিবেচনা করে সারা দেশের বিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানসিকতাও পরিহার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের শিখন ফল অর্জনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন কারিকুলামের কাজ চলছে। জনপ্রিয়তার নিরিখে নয়, বরং বাস্তবতার নিরিখে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর ঢাকা শহরের তাপমাত্রাই দেশের তাপমাত্রা নয়। কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা যদি অসহনীয় পর্যায়ে যায়, তাহলে বিদ্যালয় সেখানে নিজস্ব পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
মহিবুল হাসান বলেন, একটি পরিস্থিতিতে শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ দেওয়া হয়েছিল। নতুন কারিকুলামের যে প্রক্রিয়া সেখানে পুরো বছর শনিবার বন্ধ দেওয়া উচিত কিনা সেটি নিয়ে আমাদের আলোচনা আছে। এই মুহূর্তে যেহেতু আমরা ১০ দিন পাঠদান মিস করেছি, তাই এই মুহূর্তে শনিবার স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ পরে সেটি যদি প্রয়োজন না হয়, তাহলে অন্য সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজিজ তাহের খান প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এএজে