ডিসেম্বর মাসের শেষভাগে উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশেই সাধারণত শীতের প্রকোপ বাড়ে। এবারও সেরকমটাই হতে যাচ্ছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, সোমবারের পর তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। আর তাপমাত্রা কমলে তুলনামূলক বেশি শীত অনুভূত হবে।
শুক্রবার বিকেলে আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে বলেন, এখন যে তাপমাত্রা আছে, আগামী দু-এক দিন সে তাপমাত্রাই বিরাজ করবে। তবে রাতে কিছুটা কমতে পারে। সেটাও খুব বেশি নয়। ২০ ডিসেম্বরের পর দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে তাপমাত্রা আরও কমবে।
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ ছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এদিকে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। কখনো ঘন কুয়াশা, কখনো হালকা কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তাপমাত্রা নেমে এসেছে এক অঙ্কে।
শুক্রবার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
উত্তরের এ জনপদে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আলোর দেখা মিললেও উত্তাপ বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। দুপুর গড়াতেই হিমশীতল বাতাস বইতে শুরু করে। বিকেল হতেই শীত অনুভূত হচ্ছে।
সন্ধ্যার পর শুরু হয় শীতের দাপট। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার মাত্রাও বাড়ছে। রাতে মানুষকে লেপ-কম্বল জড়িয়ে ঘুমাতে হচ্ছে। ভোর পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে বিভিন্ন এলাকা। অনেক জায়গায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে মানুষ।
খুলনা গেজেট/ এস আই