ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে পৌনে ৪ কোটি টাকা উধাও হওয়ার ঘটনায় ব্যাংকটির দুই কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (১৮ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমান এ আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ক্যাশ ইনচার্জ রিফাতুল হক ও ম্যানেজার অপারেশন এমরান আহমেদ।
শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে বংশাল থানা পুলিশ। পরে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার সরকার তাদের আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমান আবেদন মঞ্জুর করেন।
কারাগারে আটক রাখার আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামিরা ব্যাংকের ভল্টের টাকার দায়িত্বে ছিলেন। ভল্টের চাবি তাদের কাছেই ছিল। বৃহস্পতিবার ব্যাংকের অডিট টিম অডিট করার সময় ভল্টে থাকা তিন কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকার হিসাবে গড়মিল পান। ব্যাংকের ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছে অডিট টিম টাকার গড়মিলের স্টেটমেন্ট দাখিল করে। তখন আবু বক্কর সিদ্দিক অডিট টিমের স্টেটমেন্টের ভিত্তিতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আসামিরা তাৎক্ষণিকভাবে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, ব্যাংকের ম্যানেজার তখন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে অডিট টিমের সহায়তায় আসামিদের আটক করেন। আসামিদের থানায় হাজির করে আবু বক্কর সিদ্দিক বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। ওসি অভিযোগটি পর্যালোচনা করে দেখতে পান ঘটনাটি পেনাল কোডের ৪০৯ ধারার অপরাধ। যার তদন্ত ক্ষমতা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শিডিউলভুক্ত।