ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে (ডিপিএল) হাসছে তামিম ইকবালের ব্যাট। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ওপেনার হাঁকালেন ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি। বুধবার বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে আসরে টানা দ্বিতীয় শতকের দেখা পেলেন তিনি। তামিমের আলো ছড়ানো ব্যাটিংয়ের দিন ৪ রানের আক্ষেপে পুড়েছেন এনামুল হক বিজয়। ৯৬ রানে আউট হলেও অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন বিজয়।
জাতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকায় ডিপিএলের লীগ পর্ব খেলা হয়নি তামিমের। সুপার লীগে প্রাইম ব্যাংকের দ্বিতীয় ম্যাচে তামিমের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি তার। মাত্র ৮ রানেই থামে তামিমের ইনিংস। নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই অবশ্য ঘুরে দাঁড়ান তামিম। শেখ জামালের বিপক্ষে ৯০ রানে আউট হন তিনি। এরপর গত মঙ্গলবার রূপগঞ্জ ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে করেন ৮১ বলে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস
এবার ১২২ বলে শতক হাঁকিয়েছেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ২১তম সেঞ্চুরি হাঁকাতে তামিম খেলেছেন ৯ চার ও ৩ ছক্কার মার। এরপর ১৩২ বলে ১৩৭ রান করে আউট হন তিনি।
আগের ম্যাচেই লিস্ট ‘এ’ ২০ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ১০ হাজার রানের মালিক হন তামিম। যা বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে প্রথম। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ডটি আরো মজবুত করে নিলেন তামিম। ২১ সেঞ্চুরির এই মালিকের রান এখন ১০১৪৯।
তামিমের ২১ সেঞ্চুরির ১৪টিই বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে করেছেন দুটি। বাকি পাঁচটি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম বিভাগ ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের (২) হয়ে।
এদিকে ৯৬ রানে আউট হওয়া বিজয় ডিপিএলের এক আসরে সবচেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরির মালিক হয়ে গেছেন। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৯ম ফিফটি হাঁকান বিজয়। এর আগে এক আসরে ৮ হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন নাঈম ইসলাম ও রকিবুল হাসান। ২০১৪-১৫ মৌসুমে সর্বোচ্চ ফিফটি হাঁকানোর কীর্তি গড়েন নাঈম। আর ২০১৮-১৯ মৌসুমে নাঈমকে স্পর্শ করেন রকিবুল।