২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামের এক পর্ন ছবির নায়িকাকে অর্থ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যার সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ‘মুখ বন্ধ’ রাখতে ওই নীল ছবির নায়িকাকে অর্থ দেন তিনি। এমনই অভিযোগ রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
গুঞ্জন উঠেছে, ‘মুখ বন্ধ’ রাখতে অর্থ দেওয়ায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেই মামলায় মঙ্গলবার (২১ মার্চ) তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হবে। সঙ্গে এদিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটন বিভাগীয় অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্রাগ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ অভিযোগের তদন্ত করছেন। তবে ট্রাম্প দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে করা মামলাটি মিথ্যা। তিনি গত ১৮ মার্চ নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ ট্রুথ সোশ্যালে সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যদি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাহলে যেন তারা সবাই আন্দোলনে নামেন।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যদি আজ অভিযোগ দায়ের করা হয়— তাহলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্টের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি হবেন যার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্রাগ অভিযোগ দায়েরের ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে গত কয়েক সপ্তাহে বিচারকদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষীদের উপস্থিত করেছেন তিনি। এছাড়া ট্রাম্পকে স্বীকারোক্তি দেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।
প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস গত রোববার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্প সমর্থকদের সম্ভাব্য আন্দোলনের বিষয়টি মাথায় রেখে তারা নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন।
এছাড়া ট্রাম্পকে ‘অকল্পনীয়’ গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি নিচ্ছে নিউইয়র্ক পুলিশ। বলা হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করার সময় তার হাতে হাতকড়া পরানো হতে পারে। এছাড়া অভিযুক্ত অপরাধী হিসেবে নাম নথিভুক্ত করতে ট্রাম্পের ফিঙ্গারপ্রিন্টও নেওয়া হতে পারে।
তবে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়ও, তাহলে সেটি বুধবার করা হতে পারে। কারণ এর আগে বিচারক আরেকজন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য নেবেন। সূত্র: এএফপি।
খুলনা গেজেট/এনএম