খুলনায় ডুমুরিয়ায় তিনটি বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। খোয়া গেছে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার। গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার বরাতিয়া গ্রামে এ চুরির ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা পাশ্ববর্তী কাঁঠালতলা বাজারে ধর্মীয় মঠ উৎসবে যাওয়ার সুযোগে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
ডুমুরিয়া উপজেলার বরাতিয়া গ্রামের মৃত অশ্বিনী মুর্খাজীর ছেলে ও খর্ণিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাধন মুর্খাজী জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তিনিসহ পরিবারের সদস্যরা পাশ্ববর্তী কাঁঠালতলা বাজারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান মঠ উৎসবে যান। এখান থেকে রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে বাড়ি ফিরে তারা চুরির ঘটনা দেখতে পান। এসময় চোরেরা বাড়ির পাচুলী অতিক্রম করে বারান্দার গ্রীল কেটে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে আলমারির তালা ভেঙে দেড় ভরি ওজনের সোনার নেকলেস, ১ভরি কারেন ঝুমকা, ১ভরি ভাটিয়ালি চেইন, আট আনা কোমল চেইন, ১ ভরি কানের দুটি বালা, ১ভরি শাখা বাঁধানো বালা, আট আনা পলা ও স্বর্ণের আংটিসহ প্রায় ১০ভরি স্বর্ণলংকার চুরি করে নিয়ে গেছে। একই গ্রামের মৃত রাজ বিহারী মল্লিকের ছেলে আনন্দ মল্লিক জানায়, তাদের ১টি স্বর্ণের আংটি, ১জোড়া কানের দুল, দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও নগদ ৩৫ হাজার চুরি করে নিয়ে গেছে।
গনেশ দত্তের ছেলে বাসুদেব দত্ত জানায়, বারান্দার গ্রীল কেটে ঘরে প্রবেশ করে আলমারির তালা ভেঙে নগত ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও প্রায় ২ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে।
এঘটনায় ওই রাতেই ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক জিএম ফারুক হোসেন ঘটনাস্থলে যান।
এ ব্যাপারে আটলিয়া ইউনিয়ন বিট ইনচার্জ এস আই কেরামত আলী বলেন, রাতেই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। চুরির মালামালসহ চোরদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
খুলনা গেজেট/কেডি